বিশেষ প্রতিবেদক, বরগুনাঃ
বরগুনার তালতলীতে বিয়ের প্রলোভন ষোল বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে শরীফুল ইসলাম নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শরীফুল নির্মানাধীণ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আউট প্রসেসিং প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতেন। ঢাকার গাজীপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের পিটি পাড়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে শরীফুল ইসলাম (৩৫)।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার গাজীপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের পিটিপাড়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে শরীফুল ইসলাম (৩৫) মংলার বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানায় চাকুরী করার সুবাদে মংলার রামপাল এলাকার আকরাম আলীর বড় কন্যা আকলিমার সাথে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২০২০ সালের মাঝামাঝির দিকে আকরাম আলীর স্ত্রী সাহিদা বেগম তার দুই কন্যা আকলিমা ও মুসলিমুন্নাহারকে নিয়ে ঢাকার সাইন বোর্ড এলাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করতেন। অন্যদিকে গতবছর শরীফুল তালতলীর নির্মানাধীণ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আউট প্রসেসিং প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন। শরীফুল আকলিমার মাধ্যমে তার ছোটবোন মুসলিমুন্নাহারের সাথে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে তালতলী বন্দরে কবরস্থান রোডে একটি পাকা ভাড়া বাসা নিয়ে মুসলিমুন্নাহারকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায় ১ সপ্তাহ আগে নিয়ে আসে এবং সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। মুসলিমুন্নাহার বিয়ের জন্য বার বার বললেও শরীফ তালবাহানা করে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী ঘটনাটি গোপনে পাশের বাসায় বললে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীদের জানান। তারা ঘটনার সত্যতা জেনে তালতলী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বাদী হয়ে সোমবার রাতে তালতলী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে সোপর্দ করা হয়েছে।