মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্নাঃ
প্রানের টানে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজির শিক্ষা সচিব মো: মাহবুব হোসেন। সেখান ৪২ বছর পর তার শিক্ষাগুরু তৎকালীন প্রধান শিক্ষককে কাছে পেয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। রোববার সকাল ১১ টায় বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় শতশত শিক্ষার্থী. অভিভাবক ও স্থানীয়দের উপস্থিতে এ সময় সৃষ্টি হয় আবেগঘন পরিবেশ। তাদের পক্ষ থেকে সম্মানিত অতিথিকে জানানো হয় ফুলেল শুভেচ্ছা। ভেসে ওঠে তার শৈশবের স্মৃতি, এ যেন কিছুতেই ভুলার নয়।
এর আগে সকালে সচিব তাঁর প্রিয় প্রধান শিক্ষক আইনজীবী মো: নজরুল হামিদকে মুঠো ফোনে বরগুনা সার্কিট হাউজে চায়ের আমন্ত্রণ জানায়। নজরুল হামিদ সার্কিট হাউজে পৌছা মাত্র সচিব চেয়ার থেকে উঠে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে প্রিয় গুরুকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানায়। শিক্ষক সচিবকে বুকে টেনে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তখন হৃদয় বিদারক পরিবেশে কক্ষ ভারী হয়ে উঠে। পরে ছাত্র-শিক্ষক একসাথে অন্য অতিথি বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়াম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস, বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, শিক্ষা নির্বাহী প্রকৌশলী হাদিউজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর কবীর, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিয়া শারমিন কে নিয়ে ছুঁটে আসেন তাঁর প্রাণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান কালে সচিব তাঁর প্রধান শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্যার আপনি আমাকে যে শিক্ষা দিয়েছেন তা আজও ভুলিনি। আপনার দেয়া শিক্ষা আজও বহন করে এগুচ্ছি। তিনি তার স্যারকে বলেন, এটি আমার নিজ প্রতিষ্ঠান। এখানে আমি প্রানের টানে এসেছি। সময় পেলে আবারও আসব।
শিক্ষা সচিব শনিবার বিকালে সরকারি সফরে বরগুনা আসেন। ১৯৭৭ সালে ওই বিদ্যালয় তিনি নবম শ্রেণি ভর্তি হয়ে ১৯৭৯ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে এস.এস.সি পাশ করেন। ওই সময় তাঁর বাবা ফুলঝুড়ি খাদ্য গুদামে ওসিএলএসডি পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ী বরিশাল জেলার মুলাদি উপজেলায়।