, , , ,

পাবনায় পেয়াজের চারা উৎপাদনে ব্যাস্ত কৃষকরা

সাখাওয়াত হোসেন (পাবনা) জেলা প্রতিনিধি: 
পাবনার চাষিরা এখন পেঁয়াজের চারা উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছে। গত মৌসুমের তুলনায় এবার পেঁয়াজ বীজের দাম অনেক কম। গত মৌসুমের শেষ দিকে পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় পেঁয়াজ আবাদে এবার চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। জেলায় এবার ৫৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার পাবনার সাঁথিয়া ও সুজানগর উপেজলার বিল গ্যারকাপাড়, বিল গাজনা পাড়, কুমিরগাড়ী, বামনডাঙ্গা, বামনদি, ইসলামপুর প্রভৃতি মাঠে গিয়ে দেখা যায় ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। আমন ধান কাটার পরপরই দ্রুত চাষ দিয়ে জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। চাষী পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষ পেঁয়াজের মাঠে কাজ করছে এখন। বাড়ির নারীরাও পুরুষ সদস্যদের কাজে সহায়তা করছেন। চাষিরা হালি পেঁয়াজ চাষের জন্য ক্ষেত প্রস্তুত করছেন, কেউবা বীজ বপন করছেন আর যারা একটু আগে বীজ বুনেছেন তারা চারা পেঁয়াজের যত্ন পরিচর্যায় ব্যস্ত। চাষির সাথে সাথে জমি চাষ দেয়া ট্রাক্টর মালিকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জীব কুমার গোস্বামী জানান, বীজ উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় এবছর পেঁয়াজ বীজ গতবারের চেয়ে কমমূল্যে পাওয়া গেছে। এবার ২৫০০-৩০০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বীজ বিক্রি হয়েছে। গত বছর প্রতি কেজি বীজ ছয়-সাত হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এক কেজি বীজের চারা থেকে এক থেকে সোয়া (১.২৫) বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করা যায়। তিনি আরও জানান, দেশে পেঁয়াজের চাহিদার এক পঞ্চমাংশ পূরণ হয় সাঁথিয়া-বেড়া উপজেলা থেকে। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে উৎপাদনও বাড়ছে। উন্নতজাতও উদ্ভাবিত হয়েছে। তবে সেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে পরীক্ষা, নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করতে হয়। চাষি পর্যায়ে পৌঁছাতে সঙ্গত কারণেই সময় লেগে যায়। তিনি জানান, গত মৌসুমের শেষ দিকে এসে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছেন। তিনি জানান, এ অঞ্চলে পেঁয়াজ চাষ কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তাদের ধারণা।
পাবনার আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার প্রশান্ত কুমার সরকার জানান, পাবনা জেলায় এবার (কন্দ ও চারা পেঁয়াজ মিলিয়ে) ৫৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পেঁয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন। তিনি আরো জানান, দেশে প্রতিবছর পেঁয়াজের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন। পাবনা জেলাতেই উৎপাদন হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ মেট্রিক টন যা মোট উৎপাদনের এক চতুর্থাংশেরও বেশি। আর পাবনা জেলার সাঁথিয়া-সুজানগর উপজেলা থেকে উৎপাদন হয় প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ টন। সে হিসেবে সারাদেশে মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের এক পঞ্চমাংশ উৎপাদিত হয় পাবনার এ দুই উপজেলা থেকে।
Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225