স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরগুনার তালতলী মাছ বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন চলছে খুবই জমজমাট ভাবে। পোষ্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে মাছ বাজারসহ আসপাশের সড়ক ও গলিগুলো। ভোট গ্রহনের তারিখ আগামী ৮ জানুয়ারী। এ নির্বাচনে ৫টি পদে মোট ১৬জন প্রার্থী প্রতিদন্ধিতা করছেন। এর মধ্যে সভাপতি প্রার্থী বাবা শাহজাহান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন তারই বড় ছেলে খলিলুর রহমান। এ নির্বাচনকে ঘিরে মাছ বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ।
জানা যায়, এই প্রথম বারের মতো তালতলী সদর মাছ বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যাচ্ছে। এই কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৫টি পদে ১৬জন চুড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীতা তালিকায় সভাপতি পদে তিন জন, সহ-সভাপতি পদে তিন, সম্পাদক পদে দুই, অর্থ সম্পাদক পদে তিন ও সদস্য পদে পাঁচ জন নির্বাচনে অংশগ্রহন করছে। সমিতির এই নির্বাচনে ১৮০ জন ভোটার রয়েছে। সেখানে সভাপতি পদে মোরগ প্রতীক নিয়ে বাবা শাহজাহান মিয়া অপরদিকে ও সাধারণ সম্পাদক পদে হাঁস প্রতীক নিয়ে তারই বড় ছেলে খলিলুর রহমান প্রতিদন্ধিতা করছেন। তালতলী বাজারের বিভিন্ন চায়ের টেবিলে হচ্ছে বাবা ও ছেলেকে নিয়ে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। বলাবলি হচ্ছে বাবা-ছেলে সভাপতি সম্পাদক জয়ী হয়ে ব্যবসায়ীদের সকল কিছুতেই এগিয়ে আসবে। কেউ আবার বলছে কেমন হবে তাদের কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যক্রম। এ ভাবেই নির্বাচনকে ঘিরে চলছে সমিতির ভোটারসহ স্থানীয় সাধারন মানুষের মাঝে জল্পনা-কল্পনা।
সমিতির ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন সভাপতি প্রার্থী হিসেবে বাবা শুধু তার জন্যই ভোট চাচ্ছেন। এদিকে সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে ছেলেও নিজের ভোটের জন্য দিন রাত ভোটাদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছে। বাবা ছেলের ভোটের চিন্তাও করে না আর ছেলেও বাবার ভোটের চিন্তা না করে যে যার মতো প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সমিতির একাধিক ভোটার আবুল, কবির ও হানিফ বলেন, বাবা মোরগ ও ছেলে হাঁস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে যে প্রার্থী আমাদের সুখে-দুঃখে ছিলো তাদেরকেই ভোট দিয়ে জয়ী করবো। তারা আরও বলেন বাবা-ছেলের এই নির্বাচনকে ঘিরে মাছ বাজারে চলছে অনেক জল্পনা-কল্পনা।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, আমি আমার মতোই ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছি। বাবা সভাপতি প্রার্থী তিনি তার ভোট চাচ্ছেন। কেউ কারও ভোট চাই না। তিনি আরও বলেন আমি নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে সদস্যদের উন্নয়নে কাজ করবো।
সভাপতি প্রার্থী শাহজাহান মিয়া বলেন, সভাপতি হিসেবে জয়ী হতে সদস্যদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। আমরা বাবা-ছেলে কোনো প্যানেল দেইনি। তাই ছেলের ভোটের জন্য ছেলে আমার ভোটের জন্য আমি কাজ করছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাস্টার আবু ছিদ্দিক বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাবা-ছেলে সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী হওয়াতে ভোটারদের মাঝেও দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ।