, , , ,

হত্যা না আত্মহত্যা শ্বশুরবাড়িতে জামাই’র ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরগুনার তালতলীতে শ্বশুরবাড়ির ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ইব্রাহিম (২২) নামের এক যুবকের ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারী) ভোররাতে উপজেলার মালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সকালে বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকার মো. দেলোয়ার হাওলাদারের মেয়ে লামিয়া (২০)এর সাথে গত দু’বছর আগে বিয়ে হয় নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মৌরভী গ্রামের বাদশা খলিফার ছেলে ইব্রাহিমের। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এর মধ্যেই গত বছরের অক্টোবর মাসে লামিয়ার গর্ভে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এ সময় লামিয়া তার বাবার বাড়ি চলে আসে। সন্তান জন্মের পরে স্ত্রীকে আনতে শশুর বাড়ি গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে ফেরৎ আসেন ইব্রাহিম। পরে সে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করতে নোয়াখালীতে চলে যায়। নোয়াখালীতে থেকে এব্রাহিম তার স্ত্রীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ হলে স্ত্রী লামিয়া জানান, তালতলী সদরে বাসা রেখে যদি বসবাস করে তাহলে সে স্বামীর সাথে থাকবে অন্যথায় শশুর বাড়ী থাকবেনা। এ ঘটনার ৮-১০ দিন আগে এব্রাহিম নোয়াখালী থেকে এসে তালতলী সদরে বাসা ভাড়া রেখে (গত ২৪ জানুয়ারী) সোমবার স্ত্রী লামিয়াকে আনতে শশুর বাড়ি যায়। সেখানে শশুর বাড়ির লোকজনের সাথে ইব্রাহিমের কথার কাটাকাটি হয়। পরে ভোররাতের দিকে আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ইব্রাহিমের শশুর মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার সারাদিন আমার বাড়ি কাজ করেছে ইব্রাহিম। সন্ধ্যার দিকে আমি জয়ালভাঙ্গা তাপ বিদ্যুত প্রকল্পে রাতের ডিউটি শেষে বাড়িতে এসে এব্রাহিম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এ ঘটনা দেখি। এর বেশি কিছু জানি না।
ইব্রাহিমের বাবা বাদশা খলিফা বলেন, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার ৪ মাস আগে আমার ছেলে তার স্ত্রীকে আনতে গেলে ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছে তার শশুর। পরে অভিমান করে আমার ছেলে নোয়াখালী চলে যায়। আমার ছেলের লাশ যখন উদ্ধার করেছে তখন তার পায়ে জুতো এবং মাটিতে দাড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে একাধিক স্বাক্ষ্য রয়েছে। আমার মনে হয় এটা হত্যা। আমি এ হত্যার বিচার চাই। আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। ময়না তদন্তের রির্পোটের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225