, , , ,

কাঁঠালের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা আমতলীর ছোট্ট গ্রাম কালিবাড়ীর জনপথ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ

কাঁঠালোর মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ীর জনপথ। সড়কের দু’পাশে শারি শারি দাড়ানো গাছে থোকায় থোকায় কাঁঠাল ঝুলছে। এ যেন প্রকৃতির দেয়া অপরূপ দৃশ্য।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের একটি ছোট্ট গ্রাম কালীবাড়ী। ওই গ্রামে পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসবাস। স্বাধাীনতার পরপর ওই গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ¦ বাছের আলী আকন রসালো সুমিষ্ট ও পুষ্টিকর ফল কাঁঠাল গাছ চাষের উদ্যোগ নেয়। এরপর থেকে দিন দিন কাঁঠাল গাছ রোপনের প্রবনতা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ওই গ্রামের সকল পরিবারই কাঠাল গাছ রয়েছে। গুলিশাখালী ইউনিয়নের ইউনুস আলী খান ডিগ্রী কলেজ থেকে তুলাতুলি স্ট্যান্ড পর্যন্ত কালিবাড়ী গ্রামের সড়কের দুই পাশে ব্যাক্তি উদ্যোগে কাঁঠাল গাছ রোপন করা হয়। সড়কের দুই পাশে সারি সারি কাঁঠাল গাছ থাকায় অপরূপ সৌন্দার্যে সেজেছে গ্রামটি। গাছে থোকায় থোকায় কাঁঠাল ঝুলছে। এ যেন প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি। সড়কের দু’পাশের কাঁঠাল গাছের নয়ানাভিরাম দৃশ্য দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এ গাছগুলোর কাঁঠাল ফরমালিন মুক্ত। প্রকৃতির নিয়মে গড়ে উঠে ফল। গাছের মালিকারা শুরু পরিচর্যা ছাড়া আর কিছুই ব্যবহার করেন না। প্রকৃতির নিয়মের গাছেই কাঁঠাল পাকে। কাঁঠাল পাকাতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে না বলে জানান কাঁঠাল বাগান মালিক চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু জাফর।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, সড়কের দুই পাশে শারি শারি কাঁঠাল গাছ। গাছে থোকায় থোকায় কাঁঠাল ঝুলছে। পাখিরা পাকা কাঁঠাল ঠুকরে খাচ্ছে।
কালিবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু জাফর বলেন, সড়কের দু’পাশে শত শত কাঁঠাল গাছ রয়েছে। ওই গাছে থোকায় থোকায় কাঁঠাল ঝুলছে। কাঁঠাল পাকাতে কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। নিয়ম মাফিক গাছেই কাঁঠাল পাকে। তিনি আরো বলেন, এই গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবারের সকলেই কম বেশী কাঁঠাল গাছ রয়েছে। এ থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হয়।
একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ সাইদুল হক ছত্তার আকন বলেন, আমার ৫০টি কাঁঠাল গাছ আছে। গ্রামের প্রায় বাড়ীতে কাঁঠাল গাছ থাকায় এই গ্রামটি কাঁঠালের গ্রাম নামে পরিচিত। সড়কের পাশে এতো কাঁঠাল গাছ উপজেলা আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, আমতলী উপজেলার কাঁঠালের গ্রাম কালিবাড়ী। সড়কে পাশে ওই গ্রামের মানুষ কাঁঠাল গাছ রোপন করেছে। গ্রামটি এখন কাঁঠালের গ্রাম নামে পরিচিত। তিনি আরো বলেন, ওই গ্রামে কাঁঠাল গাছের নয়নাভিরাম দশ্য উপজেলার কোথায় দেখা যাবে না। উপজেলা কৃষি অফিস তদারকি করলে কাঁঠাল গাছ চাষে চাষিরা আরো উদ্যোগী হতো।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল কবির বলেন, আমতলী উপজেলার কালিবাড়ী গ্রামের সড়কের পাশে সারি সারি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। ওই গাছে বেশ কাঁঠাল ফলে। ফরমালিন মুক্ত কাঁঠাল ওইখানেই পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন, ওই গ্রামের মানুষ সখের বসত সড়কের পাশে কাঁঠাল গাছ রোপন করেছে। ওই গাছে থোকায় থোকায় কাঁঠাল ধরেছে। তিনি আরো বলেন, কঁঠাল চাষীদের সরকারীভাবে সহযোগীতা করতে পারলে চাষিরা কাঁঠাল চাষে আরো উৎসাহ পেত। কিন্তু সরকারীভাবে কাঠাল গাছ চাষে কোন প্রনোদনা নেই।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225