আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
আমতলী একে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পৌরসভার লেকে গল্প কুটির ভাসমান ক্যাফে অপরাধের অভয়ারন্য বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুত এ ক্যাফে বন্ধের দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইন শৃংখলা সভায় এ ক্যাফে বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
জানাগেছে, আমতলী একে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পৌরসভার লেকে ২০২১ সালে মিরন খাঁন ও অসিম গল্প কুটির ভাসমান ক্যাফে নির্মাণ করেন। শুরুতেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্মাণে বাধা দেয়। কিন্তু ক্যাফের মালিকরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষেধ উপেক্ষা করে ক্যাফে চালু করেন। ক্যাফেতে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিভিন্ন মানুষের আড্ডা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে ক্যাফে খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেয়। এতে শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এছাড়াও দিন ভর ওই ক্যাফেতে বিভিন্ন মানুষের আনা গোনা হয়।এতে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড চলে বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ক্যাফে বন্ধের দাবীতে সোমবার আমতলী উপজেলা আইনশৃংখলা সভা আলোচনা হয়। ওই সভায় আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ভাসমান ক্যাফেতে মাদকসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড চলে। বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই ক্যাফে আড্ডা ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরছে। শিক্ষার্থী ও যুব সমাজকে রক্ষায় দ্রুত ওই ভাসমান ক্যাফে বন্ধের দাবী জানান তিনি।
আমতলী একে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বজলুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে ক্যাফে চালু থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাকি দিয়ে ওইখানে আড্ডা দেয়। এতে শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে।
ভাসমান ক্যাফের মালিক জাহিদ তালুকদার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভালো কিছু করতে গেলে কিছু মানুষ পিছু লাগে। আমার বেলায়ও তাই হয়েছে। আমি কোন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না। তিনি আরো বলেন, এ ক্যাফে আমি মাসখানেক আগে ভাড়া নিয়েছি। আগে যারা চালিয়েছে তারা কি করেছে তা আমার জানা নেই।
আমতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন. আইনশৃংলা সভায় ক্যাফের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠেছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, উপজেলা আইন শৃংখলা সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।