,

‘অসংখ্য হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি’

বাংলাদেশ নারী ফুটবলে এই মুহূর্তে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। হেড কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে দলের বেশিরভাগ ফুটবলারের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। যেখানে এই ব্রিটিশ কোচের অধীনে খেলতে না চাওয়ার কথা জানিয়ে অবসরের হুমকি দিয়েছেন সাফজয়ী ফুটবলারদের বড় একটি অংশ।

তবে বসে থাকেননি বাটলারও। তাদের বাদ দিয়েই কোচিং করানোর পাল্টা হুমকি দিয়েছেন তিনি। এরই মাঝে এবার সাফজয়ী তারকা মাতসুসিমা সুমাইয়া ‘হত্যা ও ধর্ষণের’ হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন!

আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে সুমাইয়া এই দাবি করেছেন। যেখানে তিনি স্কুলজীবন থেকে ফুটবল শুরু, এরপর ক্রমান্বয়ে জাতীয় দলের অংশ হওয়া এবং সাফ জয়ের গল্প তুলে ধরেন। ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়তে নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গেও নাকি লড়তে হয়েছে এই নারী মিডফিল্ডারকে। তবে গত কয়েকদিনে পাওয়া হুমকির পর তিনি নিজের ফেলে আসা সেই সময়ের জন্য অনুশোচনা করছেন, বলছেন অকল্পনীয় এই পরিস্থিতির ট্রমায় আটকে গেছেন সুমাইয়া।

বাংলাদেশি এই ফুটবলার লিখেছেন ফেসবুক পোস্টে, ‘আমি মাতসুসিমা সুমাইয়া, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের একজন খেলোয়াড়। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে থাকাকালে ফুটবল খেলা শুরু এবং মালদ্বীপে ২০২৪ সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য পাওয়ার এই যাত্রাটা বেশ অম্লমধুর। যখন আমি পথটি বেছে নিই, আমার স্বপ্ন ছিল তরুণ শিক্ষার্থীদেরও এই পথের স্বপ্ন দেখানো, যাদের বাবা-মা পড়ালেখাকেই কেবল গুরুত্ব দেন।’

‘আমি দেখাতে চেয়েছি আবেগ এবং নিবেদন থাকলে যেকোনো বাধা ভেঙে এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার অনুশোচনা হচ্ছে। আক্ষেপ হচ্ছে এই কারণে যে আমি এমন এক দেশকে সেবা দিতে শিক্ষা, পরিবার, ঈদ সবকিছু বিসর্জন দিয়েছি; যেখানে এসব সংগ্রামের কোনো মূল্য-ই নেই।’

এরপরই অনাকাঙ্ক্ষিত হুমকির কথা জানিয়ে সুমাইয়া লিখেছেন, ‘ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়তে আমাকে বাবা-মায়ের সঙ্গেও লড়তে হয়েছে, বিশ্বাস ছিল আমার দেশকে অন্তত পাশে পাব। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। কেউই সত্যিকার অর্থে একজন অ্যাথলেটের মানসিক স্বাস্থ্যকে পরোয়া করে না। আমি এবং আমার সতীর্থদের কী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে সে সম্পর্কে (ইংরেজি চিঠিতে) ‍জানানো আমার ন্যূনতম সামর্থ্য আছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে, আমি অসংখ্য হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি– সেখানে এমনও শব্দ আছে, যা অকল্পনীয়ভাবে আমাকে বিধ্বস্ত করে দিচ্ছে।’

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225