মোঘল সুমন শাফকাত,বানারীপাড়াঃ
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে সকল অনিয়মই নিয়ম এমন অভিযোগ পূর্ব থেকেই রয়েছে । তথ্যমতে ২৯ মে শনিবার রাত সোয়া ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনেই পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন মুক্তা বেগম নামের এক প্রসূতি রোগী। উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মো. শান্ত ইসলামের অভিযোগ সৈয়দকাঠি থেকে তার স্ত্রীকে হাসপাতালে আনার পরে জরুরী বিভাগে স্টাফ থাকার পরেও প্রায় ২০ মিনিট সেখানে অপেক্ষা করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ততক্ষণ প্রসূতির প্রসব বেদনা বহুগুনে বেড়ে যায়। পরে হাসপাতালের গেটেই মুক্তা বেগমের কোল জুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মুক্তা বেগমের আব্রু হয় হাসপাতালে আসা অটোরিকশায় থাকা পলিথিন। সেটা দিয়ে রুগীকে ঢেকে উপস্থিত কয়েকজন মহিলাদের সহায্যে ফুটফুটে শিশুটির জন্ম হয়। অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতালে প্রসূতি রোগী আসলেই স্টাফ নার্স কোন কিছু না দেখেই একবাক্যে বলে দেন রোগীর পানি নেই বা বাচ্চা উল্টে গেছে। এ কথা শোনার পরে রোগী ও সাথে থাকা স্বজনদের কি অবস্থা হয় ভেবে দেখুনতো। তবে হাসপাতালের সামনে সন্তান প্রসব এটা বানারীপাড়ায় নতুন কিছু না। ওই যে ভয় দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী ক্লিনিকে নিবে এমন সময় গেটের সামনে বা ওই ক্লিনিকের সামনের সড়কে বহু মা সন্তান প্রসব করেছেন। এদিকে বানারীপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সুজন মোল্লার ছোট মেয়েটি হবার আগে ডাক্তার ও নার্সদের মতো ওই রকম ভয় দেখিয়ে তড়িৎ এম্বুলেন্সে করে বরিশালে পাঠানো হয় তাদের। বরিশাল থেকে আবার তাকে জানানো হয় নরমল প্রসব হবে তার স্ত্রীর। নিয়ে আসা হলো পুনঃরায় বানারীপাড়ায় মহান মালিকের ইচ্ছায় তাই হলো।