মোঘল সুমন শাফকাত, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় পূর্বের ধারা অব্যাহত রেখে এবার গ্রাহকদের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে রংধনু স য় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। যার মূল অফিস বাইশারী বাজারে। সে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানাগেছে পৌরসভাসহ এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২ শত স য় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ রয়েছে। যার কাগজে কলমে কথিত কমিটি থাকলেও বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। যিনিই সভাপতি বা সম্পাদক তিনিইি মূলত সমিতি গুলোর সত্ত্বাধীকারী। প্রতিদিন মাঠ থেকে আদায়কৃত অর্থ সমিতির সত্ত্বাধীকারীর কাছেই জমা হয়। যথাযথ তদারকীর অভাবে এই উপজেলা থেকে গ্রাহকদের জমানো লাখ লাখ টাকা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে পালিয়ে যাচ্ছে প্রতারণার ফাঁদ পাতা সুদি সমিতি গুলো। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা সমবায় অফিসার আফসানা শাখী নিজেই বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে বুধবার ৯ জুন সমিতির সম্পাদক আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে রংধনু স য় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ’র একটি শাখা অফিস খোলা হয় উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের জনতা বাজারে। সেখানে দেড় বছর আগে মাঠ কর্মীর চাকরি নেন ইলুহার গ্রামের মো. মিজানের স্ত্রী আঞ্জু-আরা-বেগম। তিনি ওই শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় দেড় বছরে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত ২১ লাখ টাকা আলমগীর হোসেনের কাছে জমা করেন। মাঠ কর্মী আঞ্জু-আরা-বেগম গ্রাহকদের স য়ের সময় শেষ হওয়ার পরে সমিতির প্রকৃত পরিচালক আলমগীর হোসেনের কাছে গ্রাহকদের জমানো টাকা ফেরৎ দিতে বলেন। তবে বিভিন্ন অজুহাতে সে টাকা ফেরৎ দিতে টাল-বাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই ২১ লাখ সহ অন্য গ্রাহকদের আরও ২৯ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় আলমগীর। এ বিষয়ে আঞ্জু-আরা-বেগম জানান, উল্টো তাকে অভিযুক্ত করে হয়রানী করার ফন্দি আঁটছে চতুর আলমগীর। অপরদিকে মোট ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার বিষয়ে উপজেলা সমবায় অফিসার আফসানা শাখী আলমগীর হোসেনেকে দায়ী করেই থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য বানারীপাড়া থেকে এমন সুদ সমিতি বহুবার উৎপত্তি ও পরে গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ।