বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন

শার্শায় উপজেলাতে কিছুতেই থামছে না নির্বাচনী সহিংসতা

অনলাইন ডেস্ক / ৩৯৯ শেয়ার
প্রকাশিত : শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১

মোঃ নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ

আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শার্শা উপজেলায়
কিছুতেই থামছে নির্বাচনী সহিংসতা। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, সহিংসতা যেন ততই বাড়ছে। উপজেলার কোথাও না কোথাও, প্রতিদিনই দেশীয় অস্ত্র, বোমা কিংবা গুলাগুলি নিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
এতে করে ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে গোটা উপজেলা জুড়ে। কখনো নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আক্রমণ করছে বিদ্রোহী প্রার্থীর
সমর্থকদের। আবার কখনো বিদ্রোহী প্রার্থীর
সমর্থকরা আক্রমণ করছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের উপর। আক্রমণের উভয় পক্ষের
সমর্থকদের হতাহতের সংখ্যা দিনদিন বেড়েছেই চলেছে।

প্রশাসনিক ভাবে উভয় পক্ষকে থানায় ধরে এনে আর সহিংসতা ঘটাবে না, এমন মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও, ফিরে গিয়ে আবার তারা জড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী সংঘাতে।

সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাত ৮সময় উপজেলার গোগা ইউনিয়নের পাঁচ ভুলোট দাখিল মাদরাসার সামনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রশিদ ও তবিরব রহমান সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গোগা ইউনিয়নের অগ্রভুলোট এলাকার ফজর আলী (৪০), আশরাফুল ইসলাম (৩০) ও রবিউল ইসলাম (৪০) আহত হন। এ সময় বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ডিহি ইউনিয়নের পন্ডিতপুর গ্রামের শিশুতলার মোড় নামক স্থানে মোরগ মার্কা প্রতীকের মেম্বর প্রার্থী খানজাহান আলী ও তালা মার্কা প্রতীকের কামরুজ্জামান জজ মিয়ার কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে
উভয়পক্ষের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে কামরুজ্জামান জজ মিয়ার কর্মী সমর্থক পন্ডিতপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান (৪০), আমির আলী কবিরাজ (৬৫), জাকির হোসেন (৩৬), ইউসুফ (৩২), আনোয়ার (৫০), আলাল (৩২), চন্দ্রপুর গ্রামের আনসার আলী (৫৫), তরিকুল ইসলামসহ (২৬) ১৫ জন এবং খানজাহান আলীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে পন্ডিতপুর গ্রামের রুবেল (৩৫), আ. হালিম (৫৫), খলিশাখালী গ্রামের মিশির (৫৬) সজিব (২৫), জয়নাল (৪০), শাহিন আলম (৫০), চন্দ্রপুর গ্রামের মনির হোসেন মধু (৩৭) আহত হন।
সংঘর্ষের পর উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

২৩ অক্টোবর গোগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী তবিবর রহমানের মনোনয়ন নিতে তার সমর্থকরা যশোর যান। বাড়ি ফেরার পথে গোগা বাজারে আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যানের সমর্থকরা তবিবর রহমানের সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে ১২ জন আহত হন। আহত ১২ জনের মধ্যে আলী ফকির ১২ নভেম্বর শুক্রবার ভোরে মারা যান।

এদিকে স্থানীয় সাধারণ জনতা জানান, ২৮ নভেম্বর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেভাবে সংঘর্ষ বেড়ে চলেছে, তাতে করে নির্বাচন আসা পর্যন্ত কি হবে বলা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে শার্শা উপজেলা রণক্ষেত্রে পরিনত হবে বলে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মনে করেন । তাই তারা পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে ও কঠোর হস্তে দমন করার আহবান জানান।

Facebook Comments Box


এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
Developed by: Agragamihost.Com