শেখ সাখাওয়াত হোসেন (পাবনা) জেলা প্রতিনিধিঃ
পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলী (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় কমপক্ষে আরো ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদি চারা বটতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াছিন আলী সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মো. আবু সাইদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সুলতান মাহমুদ খাঁন এবং অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলীর সমর্থকদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে পোস্টার লাগানো নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সে সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ইয়াছিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠানো হলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পথেই ইয়াছিন মারা যান।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম জানান, নির্বাচন নিয়ে সহিংসতায় আহত ইয়াছিন আলী রাজশাহী নেয়ার পথে মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পাবনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুর ইসলাম বলেন, দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Facebook Comments Box