শাকিল আহমেদ, জামালপুর প্রতিনিধঃ
জামালপুরে দুই যুগেও সংস্কার হয়নি দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। ভাঙাচোর ও খানাখন্দে পরিণত অনেকটা চলাচল অযোগ্য রাস্তায় যাতায়াত করতে বেশ দুর্ভোগে রয়েছে স্থানীয়রা। বারবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও রাস্তটি নির্মানে নেই কোন উদ্যোগ। ভূক্তভোগীদের দ্রুত সড়ক নির্মানের দাবীর প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের মিলেছে শুধু আশ^াস। জামালপুর সদর উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের শীতলকুর্শা ও আরিফপুর গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। জামালপুর শহরঘেষা হলেও এই এলাকায় তেমন কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। দুই যুগ আগে মাটির রাস্তাটিতে ইট বিছিয়ে চলাচল উপযোগী করা হয়। কিন্তু এর পর থেকে আর কোন সংস্কার কাজ না করায় চলাচল অযোগ্য হয়ে পরেছে ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই রাস্তাটি। ইট সরে গিয়ে মাটি বেরিয়ে গেছে, রাস্তার দুই পাশ থেকেও ইট ও মাটি সরে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে রাস্তাটি। ভাঙাচোরা রাস্তায় যানবাহন যেমন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারেনা তেমনি দুর্ভোগে রয়েছে এই এলাকার অন্তত ৫ হাজার মানুষ। জরুরী প্রয়োজনে বা রোগীদের চিকিৎসা সেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় ভূক্তভোগীদের। নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে না পারায় এই এলাকার মানুষের সাথে আত্মীয়তা করতে চান না অনেকেই। জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও আশ^াস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি, বাস্তবায়ন হয়নি সড়ক নির্মানের দাবী।
জামালপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, জামালপুর জেলা উন্নয়ন প্রকল্প নামে একটি অনুমোদনের পথে আছে, ওই প্রকল্পে রাস্তাটি নির্মান করা হবে।
দুই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে খুব দ্রুতই রাস্তাটি নতুন করে নির্মান করা হবে এমনটাই প্রত্যাশ ভূক্তভোগীসহ সকলের।