মোঃ নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যে সব পাসপোর্টযাত্রী ভারত থেকে ফিরে আসছেন তাঁদের বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কভিড-১৯ টিকার দুই ডোজ বা জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজ দেওয়া থাকলে আরটি-পিসিআর নেভেটিভ রিপোর্ট লাগবে না। তবে কিউআর কোডসহ টিকার সনদ সঙ্গে থাকতে হবে।
রোজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জাহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর সিডিসি এর পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি পত্র আমরা পেয়েছি। যা ১৪ মার্চ থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যেকোনো টিকার দুটি ডোজ বা জনসন অ্যান্ড জনসন এর একটি ডোজ গ্রহণকারী যাত্রী ভারত থেকে ফেরত আসলে তার আরটি পিসিআরের ৭২ ঘণ্টার করোনার সনদ প্রয়োজন হবে না। যাঁরা এ আওতার বাইরে থাকবেন তাঁদের ৭২ ঘণ্টার করোনা টেস্টের সনদ বাধ্যতামূলক।
এদিকে, যে সমস্ত পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে গমনের পূর্বে যে দেশে ভ্রমণ করবেন সে দেশের স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী আরটি-পিসিআর টেস্ট প্রযোজ্য হবে। ওই সমস্ত যাত্রীদের যাদের বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করা আছে তাঁদের জন্য করোনা টেস্টের সনদ লাগবে না। কিন্তু যে সমস্ত যাত্রীদের শরীরে উপসর্গ থাকবে তাঁদের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে রেখে কভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে। এ ছাড়া ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর আরটি-পিসিআর ভিত্তিক নেভেটিভ কভিড-১৯ সনদ বাধ্যতামূলক নয় বলে চিঠিতে উল্লেখ আছে।
বেনাপেল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি যাত্রী যাঁদের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত করোনার দুটি টিকার ডোজ বা জনসন অ্যান্ড জনসন এর একটি টিকা দেওয়া আছে, তাঁদের লাগবে না ৭২ ঘণ্টার আরটি-পিসিআরের নেগেটিভ সার্টিফিকেট সনদ। যা আজ সোমবার সকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।
