, , , ,

আমতলীতে ডায়েরিয়ায় প্রকোপ” হাসপাতালের বারান্দায় লাইট ও ফ্যান না থাকায় রোগীদের চরম দুর্ভোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
আমতলীতে ডায়েরিয়ার প্রকোপ চরম আকারে ছড়িয়ে পরছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৫ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও পুরুষ। হাসপাতালের ৬ জনের ডায়েরিয়া শয্যার বিপরীতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪০ জন। শয্যা না থাকায় রোগ ও তার স্বজনরাা বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে তিল পরিমান জায়গা ফাকা নেই। বারান্দায় লাইট ও ফ্যান না থাকায় গরমে রোগী ও তার স্বজনরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
জানাগেছে, বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৫ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও পুরুষ। হাসপাতালে ৬ জনের ডায়েরিয়া শয্যার বিপরীতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪০ জন। শয্যা না থাকায় রোগীরা বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডায়েরীয়া রোগী সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ডাক্তার ও সেবিকাদের সেবা দিতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। ঋতু পরিবর্তনের কারনে নদী ও খালের পানিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই পানিতে ইকোলাই ও ভিব্রিও কলেরি ব্যকটেরিয়ার রয়েছে। নদী ও খালের ওই পানি ব্যবহারে ডায়েরিয়ায় মানুষ বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন। ডায়েরিয়া থেকে রক্ষা পেতে নদী ও খালের পানি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল থেকে শুধুই স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আর কোন ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। স্বজনদের বাহির থেকে ওষুধ কিনতে হয়। হাসপাতালে শয্যা না থাকায় বারাষন্দায় রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর স্বজনরা আরো অভিযোগ করেন বারান্দায় লাইট ও ফ্যান নেই। ফলে স্বজন ও রোগীদের গরমে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।
দ্রুত রোগীদের দুর্ভোগে লাঘবে লাইট ও ফ্যানের দাবী জানিয়েছেন স্বজনরা।
আমতলী পৌর শহরের পুরাতন বাজারের রোগী আব্দুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ওষুধতো বাহির থেকে কিনতে হয় তারপর বারান্দায় লাইন ও ফ্যান নেই। গরমে জীবনটা যায় যায় পালা। তিনি আরো বলেন, বাহির থেকে তিন হাজার স্যালাইন কিনেছি।
উত্তর রাওগা গ্রামের কবির হোসেন, খানখালী গ্রামের জুলহাস, পাতাকাটা গ্রামের হাসিনা বেগম, ঘোপখালী গ্রামের ইফসুফ ও দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের মাহমুদা বলেন, কোন বেড পাইনি, তাই বারান্দায় বিছানা পেতে শুয়ে আছি। স্যালাইন ছাড়া সকল ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মুনয়েন সাদ শয্যা সংঙ্কটের কথা স্বীকার করে বলেন, ঋতৃ পরবির্তনের কারনে নদী ও খালের পানিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই পানিতে ইকোলাই ও ভিব্রিও কলেরি ব্যকটেরিয়া থাকায় ডায়েরিয়া প্রকোট আকারে ছড়িয়ে পরছে। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন রয়েছে। সকলকে নদী ও খালের পানি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225