আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
ঘুর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গত তিনদিন ধরে উপকুলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। তিন দিনের বৃষ্টিতে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলীর মাঠে পানি জমে বোরো ধান ও রবি ফসলের খেত তলিয়ে গেছে। বিপাকে পড়েছে উপজেলার অন্তত ৭ হাজার কৃষক। এতে রবি ফসলের অন্তত পঁাচ কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গত তিন দিন ধরে উপকুলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। ওই বৃষ্টিতে বোরো ধান ও রবি ফসল মুগডাল, মিষ্টি আলু ও বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বোরো ধানের তেমন ক্ষতি না হলেও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানান কৃষকরা। অধিকাংশ মুগডাল, বাদাম ও মিষ্টি আলুর ক্ষেত পানির নীচে তলিয়ে থাকায় ফসল ঘরে তুলছে পারছে না তারা। এতে উপজেলায় ১০ হাজার ১’শ ৩০ হেক্টর জমির অন্তত পঁাচ কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। অপর দিকে ২ হাজার ৭’শ ৫০ হেক্টর জমির বোরো ধান কাটার ধুম চললেও অশনির প্রভাবে ধান হেলে পড়ার ভয়ে আতঙ্কিত কৃষকরা। ধান হেলে পড়লে বেশ ক্ষতি হবে বলে জানান তারা। পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের রাসেল হাওলাদার বলেন, পানিতে মুগডালের খেত তলিয়ে গেছে। কোন ডালই ঘরে তুলতে পারিনি। গাবতলী গ্রামের কৃষক মাজহারুল বলেন, এক একর জমিতে মুগডাল চাষ করেছিলাম কিন্তু পানিতে তলিয়ে থাকায় কোন ডাল তুলতে পারিনি। এতে অন্তত ত্রিশ হাজার টাকা ক্ষতি হবে।আমতলী কাউনিয়া গ্রামের আল আমিন বলেন, পানিতে বাদাম ও আলু খেত তলিয়ে গেছে। কি পরিমান ক্ষতি হয় আল্লাহ জানে। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, পানিতে মাঠ তলিয়ে থাকায় রবি ফসলের বেশ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে দ্রুত পানি নিস্কাশন হলে ক্ষতির পরিমান কম হবে।