স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারতের দক্ষিনের প্রদেশ তামিলনাড়ুর নাগরিক আলোচিত সেই প্রেমিক প্রেমাকান্তের নামে তালতলী থানায় আইনি সহায়তা চেয়ে শুক্রবার (৫আগষ্ট) দিবাগত রাতে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী সেই মেয়েটির বাবা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী সেই কিশোরী মেয়েটির সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় ভারতের তামিলনাড়ুর নাগরিক নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার প্রেমাকান্তের সাথে। বিভিন্ন সময় মোবাইলে শুধুমাত্র কথাবার্তা হয়। এর সূত্র ধরে গত ২৪ জুলাই সেই প্রেমাকান্ত তার দেশ থেকে বাংলাদেশের বরিশালে আসেন। সেখানে প্রেমাকান্তের অনুরোধে একটি রেস্টুরেন্টে মেয়েটি তার তিন বান্ধবীসহ ছেলেটির সাথে দেখা করে। এরপর গত ২৭ জুলাই কাশিমপুর এলাকায় ছেলেটির ডাকে ঐ কিশোরী দেখা করতে গেলে প্রেমাকান্ত ঐ কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এক পর্যায় ছেলেটি বিভিন্ন প্রলভন দেখিয়ে ঐ কিশোরীকে তার সাথে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে মেয়েটি রাজি না হওয়ায় প্রেমাকান্তের সাথে তার কথার কাটাকার্টি হয়। তাদের মধ্যে তর্ক ও কথার কাটাকাটির সামাল দিতে একপর্যায় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে প্রেমাকান্তের গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যায়। স্থানীয়রা ঐ ছেলেটিকে ধরে বরিশাল বিমান বন্দর থানায় হস্তান্তর করেন। বরিশাল বিমান বন্দর থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার ভারতীয় দূতাবাস ও মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। ভারতীয় দূতাবাসের সাথে আলোচনা করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছেলেটিকে তার দেশে ফিরে যেতে বলে থানা থেকে ছেড়ে দেন। ছেলেটি তার দেশে ফিরে না গিয়ে আমার মেয়ের
নামে কুৎসা রটাচ্ছে।
এ বিষয় মেয়েটির বাবা বলেন, আমার মেয়ে ঐ ছেলেটির কূ প্রস্তাবে রাজি হলোনা, ঢাকাও গেলোনা, এতে কি আমার মেয়ে অপরাধ করেছে? ঐ ছেলের এক তরফা কথা শুনে আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। এ কারনে আমার পরিবারের মধ্যে যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে তার দায়ভার কে নেবে? আমি প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা দাবী করছি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ভারতীয় নাগরিক প্রেমাকান্ত নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন মেয়েটির বাবা। এ বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।