শাহীন শাইরাজ:
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর শুরু করা হয়েছে ব্রিজ নির্মাণের কাজ। বরগুনার তালতলীতে এডিপি থেকে বরাদ্দের ব্রিজের কাজ না করেই তিন অর্থবছর আগে বিল উত্তোলন করে লোপাট করেছিল ঠিকাদার। এ নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নজরে আসে প্রশাসনের। তদন্তে উহা সত্যতা পাওয়ায় তড়িঘড়ি করে শুরু করা হয় ব্রিজ নির্মাণের কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আয়রন ব্রিজ নির্মাণ কাজ তড়িৎ গতিতে চলছে। এ সময় এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আগে ব্রিজ নির্মাণ করলে কেমন হতো জানি না। তবে বর্তমানে ব্রিজটি খুব ভালোই হয়েছে। এতে তাঁদের অনেক দুর্ভোগ কমে যাবে। সংবাদ প্রকাশিত না হলে হয়তোবা ব্রিজটি নির্মাণ হইতো না।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপির আওতায় একটি প্যাকেজে টয়লেট, টিউবওয়েল ও আয়রন সেতুর জন্য ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের আমজেদ বয়াতির বাড়ির সামনে একটি আয়রন সেতু নির্মাণ করার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই এলাকার একটি পুরোনো আয়রন সেতুর মালামাল সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণকাজ করার জন্য বরগুনার মেসার্স আকন্দ ট্রেডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. রেদোয়ান ঠিকাদারের কাছ থেকে তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও তাঁর পার্টনার সোহেল মিয়া কাজটি সম্পন্ন করে দেওয়ার কথা বলে চুক্তিতে নেন। এরপর নিয়ম অনুসারে তৎকালীন অর্থবছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। টয়লেট ও টিউবওয়েল নির্মাণ করা হলেও সেতুটি নির্মাণ না করেই এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মুরাদ হোসেনের যোগসাজশে গত জুন মাসের শেষে পুরো প্যাকেজের টাকা উত্তোলন করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সাদিক তানভীর বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সত্যতা যাচাই করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য জোর তাগিদ দেওয়া হয়। বর্তমানে ব্রিজ নির্মাণ শুরু হয়েছে। ##