, , , , , , ,

বিএনপি নেতার ছেলে যুবলীগের সভাপতি হওয়ার গুঞ্জন ত্যাগীদের মধ্যে ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার॥

বরগুনার তালতলীতে এক বিএনপি নেতার ছেলে মো. মহসিনকে উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মনোনীত করার গুঞ্জন উঠেছে। এ নিয়ে উপজেলার সর্বত্র চলছে নানামুখী সমালোচনা। দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মীরা পদ বঞ্চিত হওয়ায় আশংকায় ত্যাগীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি নেতার ছেলেকে সভাপতি করার গুঞ্জনে ত্যাগীদের পক্ষে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তালতলী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী সাগর হোসেন অলি।
তিনি বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছেও এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মজিবর গাজী, ইউনিয়ন যুবলীগের আরেক সভাপতি প্রার্থী মোঃ জাহাংগীর হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ, যুবলীগ কর্মী মোঃ নাসির উদ্দিন, ইউনিয়ন তাতীলীগ সদস্য রিপন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারী পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলন করেন উপজেলা যুবলীগ। এতে ঐ ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মোঃ আজিজ খানের ছেলে মো. মহসীন খান সভাপতি প্রার্থী হয়। তবে সম্মেলনের ৭ মাসেও ঘোষনা করেনি ইউনিয়ন কমিটি। সম্প্রতি ঐ ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করার তোরজোর চলছে। এতে বিএনপি নেতার ছেলেকে সভাপতি হিসেবে প্রাথমিক ভাবে মনোনীত করার গুঞ্জন উঠেছে। এতে তৃণমুল যুবলীগের ভেতরে চলছে নানামুখী আলোচনা ও সমালোচনা।
সংবাদ সম্মেলনে সাগর হোসেন অলি বলেন, ১ নং পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের আজিজ খান একজন বিএনপি নেতা। তার ৫ সন্তানের ৪ সন্তানই বিএনপির ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের পোষ্টধারী নেতা। খন্দকার মোস্তাকের চরিত্র নিয়ে আওয়ামীলীগের ভিতরে ঘাপটি মেরে বসে আছেন ও যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন ঐ বিএনপি নেতা আজিজ খানের তার চতুর্থ সন্তান মোঃ মহসীন। আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা পিতা-ভাই বোনের কাছে জানিয়ে থাকেন। যার জন্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্টোপাল্টা কথা বলে আওয়ামীলীগকে বিপাকে ফেলতে পারেন। তাছাড়াও গত ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দ্যেশে হামলা করেছিল বিএনপির সন্ত্রাসী লোকজন। সেই হামলায় ঐ মহসিনের ভাই নসু খান ও আনোয়ার খান অংশ গ্রহন করেন। এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ অবগত রয়েছে। গত একাদ্বশ নিবার্চনে মহসিনের বিএপি পন্থি ভাইয়েরা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। বিএনপি নেতার ছেলে আজ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছে এটা খুবই কষ্টের। কারন এর সাপোর্ট দিচ্ছেন কতিপয় আমাদের আওয়ামীলীগ নেতারা।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী মহসিন বলেন, আমি স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ছোট বেলা থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার পরিবার আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। আমাকে নিয়ে এখন স্বরযন্ত্র হচ্ছে। যারা এই স্বরযন্ত্র করছে তাদের পরিচয় কি?। তারা কবে থেকে আওয়ামীলীগ করেন?। আমি আওয়ামী পরিবারের সাথে আছি এবং থাকবো।
জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এ্যাটম বলেন, মহসীনের পরিবার কি করে সেটা কোনো বিষয় না। তবে মহসীন কি যুবলীগ করে কি না সেটা দেখার বিষয়। তার বিষয়ে লিখিত কোনো ডকুমেন্ট পেলে খতিয়ে দেখা হবে। #

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225