ইসহাক জুয়েল, নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারের বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দেশব্যাপী স্বল্প মূল্যে ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবির পন্য বিক্রয় করা হচ্ছে। তবে বরগুনার এক ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ডিলারের নাম মো. জাকির হোসেন, তিনি মেসার্স হাওলাদার স্টোরের স্বত্বাধিকারী।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৫ মার্চ থেকে বরগুনা সদর উপজেলায় প্রতিদিন ৫টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সদর উপজেলার পাচটি স্থানে মোট ২ হাজার পথচারীকে এনআইডি কার্ডের বিপরীতে ৪৫০ টাকার বিনিময়ে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মশুর ডাল, ১ কেজি ছোলা বুট ও ১ কেজি চিনি দেয়া হয়। একজন ট্যাগ অফিসার ও জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রতি টিসিবি লাইসেন্সের অনুকূলে প্রতিদিন ৪০০ জনের প্যাকেজ পায়। এবং নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিনের প্যাকেজ প্রতিদিনই বিক্রি করার বিধান রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল ১২ মার্চ সদর উপজেলার স্টেডিয়াম বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে বসে দুপুর থেকে সন্ধা পর্যন্ত পন্য বিক্রি করেন মেসার্স হাওলাদার স্টোর। কিন্তু বিতরণের শেষে ১৬ কেজি চিনি, ৩৫ কেজি মশুর ডাল, ২০ কেজি ছোলা বুট পাওয়া গেলেও কোন সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ট্যাগ অফিসার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রতিনিধির যোগসাজশে অনিয়ম করছেন ডিলার জাকির।
এবিষয়ে মেসার্স হাওলাদার স্টোরের ডিলার জাকির হোসেন বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখার অফিস সহায়ক দীপক চন্দ্রকে একাধিক বার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার, শুভ্রত কুমার দাস বলেন, আমি কিছুক্ষণের জন্য বাসায় এসেছিলাম। ইউএনও স্যারের কল পেয়ে আমি ওখানে গিয়ে দাড়িয়ে থেকে সকল মালামাল বিক্রি করাই। কোন মাল অবশিষ্ট ছিলো না বলে ফোন কেটে দেন৷ পরবর্তীতে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অথচ তিনি বিকাল থেকে ঘটনাস্থলে ছিলেন না। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি তাকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিলেও তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির বিধান দাস বলেন, মেসার্স হাওলাদার স্টোরকে সঠিকভাবে ৪০০ জনের প্যাকেজ বুঝিয়ে দেয়া হয়। অভিযোগের বিষয়টি আমিও শুনেছি। কিন্তু প্যাকেজ প্রতি কোন পন্যের অবশিষ্ট থাকলে তা জমা দেয়ার কোন সুযোগ নাই। সঠিক নিয়মে সকল পন্য বিক্রয় করতেই হবে।
এবিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল জাহের বলেন, আমি ট্যাগ অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছি।