বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বিজিসি অ্যাওয়ার্ড-২৪ পেলেন আব্দুল মান্নান মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান তারেক রহমানের ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানালেন মির্জা ফখরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় খালাস পেলেন সাংবাদিক নেতা গোলাম ফারুক মজনু বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন আশুলিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও মিজান শাহ্ দরবারে ৫৩ তম মাহফিল অনুষ্ঠিত। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান আবহাওয়ার বৈরীতায় উত্তাল সাগর, ঝড়ের আশঙ্কা

করোনার থাবায় নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সান্তাহার জংশন স্টেশন!

আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম মন্টু, সান্তাহার / ২৭৯ শেয়ার
প্রকাশিত : বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০
সান্তাহার জংশন স্টেশন

বাংলাদেশ রেলওয়ের অন্যতম এক বৃহৎ জংশন স্টেশন সান্তাহার। ১৮৭৮ সালে বৃটিশ সরকারের আমলে এ স্টেশনটি নির্মিত হয়। ১৯০১সালে সান্তাহার থেকে বনারপাড়া অভিমুখে মিটার গেজ লাইন চালু হলে এটি জংশনের মর্যাদা পায়। আর সেই থেকে সান্তাহার হয়ে ওঠে এক ব্যস্ততম রেলওয়ে জংশন স্টেশন।

১৮৭৮সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ব্যস্ততার সাথে চলে আসছে এ স্টেশনটির কার্যক্রম। এরপর ১৪২ বছর পেরিয়ে গেলেও একটি দিনের জন্যেও থেমে থাকেনি কোনো কার্যক্রম। কিন্ত বিশ্বব্যাপী এক মহামারী করোনার থাবায় জনশূণ্য হলো ঐতিহ্যবাহী এ জংশন স্টেশন।

প্রায় একমাস যাবৎ আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে সকল আন্তনগর ও লোকাল ট্রেন। জংশনটি ট্রেনগুলোর কাছে যেন তাদের মা সমতুল্য। গত ২৪ এপ্রিল থেকে মাসব্যাপী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় দু:খ ভরাক্রান্ত মন নিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঐতিহ্যবাহী সান্তাহার জংশন স্টেশনটি। ২৪ঘন্টায় এই স্টেশনের উপর দিয়ে হাজারো যাত্রী চলাচল করতো।

যাত্রীদের পদচারনায় দিনরাত মুখরিত হয়ে উঠতো এ স্টেশনটি। যখন আমার সান্তানেরা এসে দাঁড়াতো কতো যাত্রী তখন উঠানামা করতো। গার্ড হুইসেল দিলে আমার সন্তানেরা আমাকে ছেড়ে কেউ খুলনা,রাজশাহী আবার কেউ রাজধানী ঢাকার উদ্যোশ্যে ছেড়ে যেতো। স্টেশন থেকে মাইকে ঘোষনা করা হতো ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রæতযান আন্তনগর এক্সপ্রেস আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ২নম্বর প্লাটফর্মে এসে দাঁড়াবে।

আবার ৩নম্বর প্লাটফর্ম থেকে রাজশাহী আভিমুখে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি। সেসব ঘোষনা প্রায় ১ মাস যাবৎ কানে আসেনা। মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের কড়াল থাবায় সাড়াদেশের মতো সান্তাহার জংশন স্টেশনটিরও কার্যক্রম ও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

জনশূণ্য স্টেশনটির দিকে তাকালে মায়াবি কন্ঠে বলতে চায় যেন; আমার সন্তানগুলোকে করোনা ভাইরাসের মরণ থাবা থেকে বাঁচানানোর জন্য পারবর্তীপুর, ঈশ্বরদী, সৈয়দপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সেডে তাদের লকডাউনে রেখেছি। সরকারি নির্দেশ মেনে আমার সন্তানদের শুধু বাঁচালেই হবেনা বাঁচাতে হবে পুরো দেশটাকে, বাঁচাতে হবে দেশের সকল মানুষকে। আর এজন্য সকলকে থাকতে হবে নিজ নিজ ঘরে।

যেভাবে আমার সন্তানরা অবস্থান করছে তাদের আপন ঠিকানায়। আমার সন্তানদের মতোই যদি সরকারি নির্দেশ মেনে দেশের সকল মানুষ যদি একযোগে হোমকোয়ারিন্টিনে থাকে তাহলে এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন নয়। আমাদের কামনা দেশ থেকে তারাতারি করোনা ভাইরাস বিদায় নিয়ে চলে যাক। দেশের আপামর জনসাধারনসহ সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাক ।

Facebook Comments Box


এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
Developed by: Agragamihost.Com