পুরো নাম মো. শাহাদাত হোসেন (হিরু)। পেশায় রিক্সাচালক। মিরপুরে থাকেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে থাকেন তিনি। বেশ কষ্টে দিন পার করছিলেন। রিক্সা নিয়ে বের হলেও ভাড়া তেমন পেতেন না। সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এই দু:সময়ে তার এসব কষ্টের কথা প্রথম তিনি শেয়ার করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের এক প্রতিবেদকের কাছে। সেই প্রতিবেদকের করা একটি ভিডিও প্রতিবেদন ফেসবুকে আপলোড করার পরই স্বপ্ন’র কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে। এরপরই যোগাযোগ করা হয় সেই প্রতিবেদকের সঙ্গে। এরপর খুঁজে পাওয়া যায় সেই রিক্সাওয়ালাকে।
রোববার স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির রিক্সাচালক শাহাদাতের সঙ্গে কথা বলে অফিসের নিজস্ব কার্যালয়ে তার হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ সময় সাব্বির হাসান নাসির বলেন, রিপোর্টটা দেখেই মনে হচ্ছিল যে, উনার জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগত। ‘স্বপ্ন’ এর আগে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের চাকরির ব্যবস্থা করেছে। আর সমাজের অবহেলিত মানুষদের জন্য অনেকদিন থেকেই কাজ করছে ‘স্বপ্ন’। বলতে গেলে অনেকটা দায়বদ্ধতা থেকেই এই রিক্সাচালককের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করা। উনার জন্য এটুকু করতে পেরে বেশ ভালোলাগছে।
স্বপ্ন’র মানবসম্পদ বিভাগ থেকে জানা যায়, মিরপুর-১ নাম্বারে থাকা রিক্সাচালক শাহাদাত হোসেন এখন থেকে মিরপুর জোনেই নিয়মিত ডেলিভারির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
চাকরি পাবার পর আবেগে আপ্লুত হয়ে রিক্সাচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, এমন দু:সময়ে চাকরি পাবো। এটা ভাবতেও পারিনি। কাজটাও আমার জন্য সহজ। আমি অনেক আগে থেকেই রিক্সা চালাই। এখন থেকে রিক্সাতে করে স্বপ্নের বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারিম্যানসহ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ায় হবে আমার কাজ। তাই এ কাজটি পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত। এমন চাকরির সুযোগ পেলে অনেকের ঘরে আর দু:খ-কষ্ট থাকবে না। উল্লেখ্য,স্বপ্নই দেশের প্রথম রিটেইল চেইন, যারা প্রতিবন্ধী মানুষদের নিয়োগ দিয়েছে এবং এ প্রতিষ্ঠানে তাদের চাকরির ১০ শতাংশ কোটা রয়েছে।