এই সংকটময় সময়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছাঁটাই না করে মালিকদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার তার বাসভবন ভিডিও বার্তায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গার্মেন্টস চালু করার আগে মালিকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শ্রমিক ছাঁটাই হবে না। ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকরা ফ্যাক্টরি পরিচালনা করবে। বিভিন্ন অঞ্চলে বা গ্রামে থাকা শ্রমিকদের বেতনের একটি অংশ পাঠিয়ে দেয়া হবে। তাদের ঢাকায় আসতে নিরুৎসাহিত করা হবে। প্রকৃতপক্ষে আমরা দেখেছি প্রতিদিন দলে দলে বিভিন্ন শ্রমিকরা ঢাকায় ঢুকছেন। শ্রমিকরা বলছে তাদেরকে অফিস থেকে ডাকা হয়েছে।
গতকাল শুনতে পেলাম গাজীপুরে একটি কারখানায় লে অফ বা ছাঁটাই ঘোষণা করা হয়েছে। এটাতো হওয়ার কথা ছিলো না। সরকার তাদের সুরক্ষায় এরইমধ্যেই তাদের জন্য নিম্ন সুদের প্রণোদনাসহ রফতানি খাত অব্যাহত রাখতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, এই সংকটকালে মালিকরা উদার মনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে আমার বিশ্বাস। সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে, শ্রমিকদের পাশে থাকুন, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন।
পরিবহন শ্রমিকদের ত্রাণের লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তালিকা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবহন শ্রমিকদের অন্যান্য শ্রমিকদের ত্রাণ দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। জেলা প্রশাসন এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় সরকারের টেস্টিং ক্যাপাসিটি এখন অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, অনেকের করোনা লক্ষণ দেখা দিলেও টেস্ট না করে গোপন রাখছেন। এতে বিপদ ডেকে আনছেন। লক্ষণ দেখা দিলে হটলাইনে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি। এটা সবাইকে লক্ষ্য রাখার অনুরোধ করছি। করোনা সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার উপর আস্থা রেখে আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। ইনশাআল্লাহ করোনা যুদ্ধে জয় আমাদের হবেই।
ফ্রন্টলাইন করোনা যুদ্ধে পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টরসহ চারজন আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মন্ত্রী তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি এবং যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আরোগ্য কামনা করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ফ্রন্টলাইনে যারা ডাক্তার, নাস, চিকিৎসক, টেকনিক্যাল, স্বাস্থ্যকর্মীর সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এবং চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
‘এরইমধ্যে আমরা হারিয়েছি একজন চিকিৎসক, একজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন সাংবাদিক এবং একজন ব্যাংকারকে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, সাংবাদিকসহ সামনের সারিতে যারা করোনা বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান ওবায়দুল কাদের।