মহান মে দিবস। বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারেও প্রতিবছরই যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হতো এ দিবসটি। কিন্তু প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষ ঘরে থাকার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।
ফলে মে দিবসে নতুন করে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি ব্যাংকসহ কলকারখানা বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লীষ্টদের ফলোআপ করে বলার তেমন একটা প্রয়োজন পড়েনি এবছর। তবে করোনা কী? আর মে দিবস কী? তা অনেক শ্রমিক জানলেও মানছেন না। কারণ একটাই তাদের পেটের ক্ষুধা।
সান্তাহার পৌর শহরের রিক্সা চালক মানিক মিঞা বলেন, বড়িতে স্ত্রী সন্তান আছে, রিক্সা বের করলে টাকা ইনকাম (উপার্জন) হয়, আর সেই টাকা দিয়েই প্রতিদিন চাল কিনে ভাত খাই। একদিন কাজ না করলে ভাত জোগাতে কষ্ট হয়। তাই করোনা কী আর মে দিবস কী তা বুঝিনা। সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনী মহল্লার রনি হোসেন নামের এক হকার শ্রমিকের দাবী তিনি কোনো ত্রাণ সামগ্রী পাননি। ফলে ঘরে থেকে সংসার চালানো তার পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই করোনার মধ্যে মে দিবসের দিনেও বাধ্য হয়ে পেটের দায়ে রাস্তায় বের হতে হয়।
সান্তাহার পৌর শ্রমিকলীগ নেতা মুক্তারুজ্জামান মুক্তা বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকারের পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনের স্বামর্থবান নেত্ববৃন্দের উচিৎ অভুক্ত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো। সেটি হবে করনো প্রতিরোধে সহায়ক ভুমিকা ও মে দিবসে অভুক্ত শ্রমিকের জন্য সহযোগীতা।
আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম পিন্টু জানান, দীর্ঘ ২৫বছর যাবৎ শ্রমিকদের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় প্রতিবছর এদিবসটি পালন করেছি। এদিনে উপজেলার নির্মাণ, ট্রাক, অটোরিক্সা, ভ্যান, কুলি ও হোটেল শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করে থাকে। কিন্তু করোনার কারনে এবার কোনো আয়োজন নেই এ দিবসটিতে। সাধ্যমতো শ্রমিকরা ঘরে থাকার চেষ্টা করছে আবার অনেকে ক্ষুধার জালায় কাজের জন্য বেরিয়েও পড়ছেন।