নওগাঁ সীমান্তে গরু ও মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেইসঙ্গে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম নাদিম আরেফিন সুমন।
প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগ মুহূর্তে সীমান্তে চোরাকারবারিদের গরু পারাপার এবং বিভিন্ন ধরনের মাদক নিয়ে আসার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। কোরবানির ঈদের বাজারে ভারতীয় গরু ওঠানোর ফলে দেশীয় গোখামারিদের লোকসান গুনতে হয়। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাদক আসার ফলে মাদকাসক্তের প্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি উঠতি বয়সী তরুণরা নানা অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়েন।
পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) অধীনে জেলার পত্নীতলা, সাপাহার, ধামুইরহাট সীমান্ত এলাকা রয়েছে। এ সকল সীমান্তবর্তী এলাকায় যারা চোরাচালান ও অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সম্প্রতি তাদের তৎপরতা বেড়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জেনেছে বিজিবি।
সীমান্তে অপরাধ প্রবণতা বাড়লে চোরাচালান বৃদ্ধিসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের জানমাল ও জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়াও কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে আন্তঃ দেশীয় সীমান্ত দিয়ে এ ধরনের অবৈধ পারাপার সংক্রমণ ঝুঁকিও আরো বাড়াবে ধারনা করা হচ্ছে।
পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এসএম নাদিম আরেফিন সুমন বলেন, আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে এ ব্যাটেলিয়নের আওতাভুক্ত এলাকায় গরু চোরাচালান ও মাদকের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তৎপরতা বাড়তে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। এই অবস্থায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি, কোম্পানি ও বিওপি পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় গরুসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রেষণা প্রদান করা হচ্ছে। সীমান্তের চিহ্নিত চোরাকারবারীদের শনাক্ত করে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ টহল তৎপরতার মাধ্যমে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
## সূত্র বিজিবি পেজ।।