দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদী গ্রামের খুন ধর্ষণ মাদকসহ ডজন মামলার আসামী এক সময়ের ত্রাশ লালচাঁদ বাহিনীর প্রধান ক্যাডার আবুল কালাম এখন বাহিরমাদী, টলটলিপাড়া, সিরাজনগর, ইসলামপুর গ্রামের সাধারন মানুষের আতঙ্ক হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, আবুল কালাম খুন ধর্ষণ ডাকাতি চাঁদাবাজি বাড়ী হামলা থেকে শুরু করে মাদক চোরাকারবারিসহ সন্ত্রাসী মুলক কর্মকান্ড চালিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে চলছে। বার বার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আবার তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যায় বলেও এলাবাসী অভিযোগ করেন।
তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের স্বীকার সিরাজনগর গ্রামের মহন নামের এক মাষ্টার অভিযোগ করে বলেন, গত ৩০শে মে তার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার মা মোমেনা খাতুন (৫৫) কে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে সে। সেই ঘটনায় তিনি জেলও খেটেছেন বলে তিনি জানান।
এছাড়াও একই গ্রামের মৃত ওহাব মহলদারের ছেলে সাহাব কে টাকার জন্য হুমকি, মৃত মুনছুর সরদার এর ছেলে ইন্তাদুল কে টাকার জন্য মারধর, কামারপাড়া গ্রামের মান্নানের বাড়ীতে হামলা, জাতি কামারের বাড়ীতে ডাকাতি, সিরাজনগর গ্রামের হেবাজ মন্ডলের বিধবা মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষনসহ শান্তিনগর গ্রামে গরু চুরি করতে গিয়ে মালিক আরসেদ কে খুন করার কারনে তার নামে মামলা হয়েছিল বলে জানান তিনি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন এত অপকর্মের পর কেন আবুল কালাম গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও বার বার ছাড়া পায় সেটা আমার বোধগম্য হয়না।
জানাযায়, ২০০১ সালের ১১ই জুন মামলা নং-২৩, ২০০৮ সালের ৮ই ডিসেম্বর মামলা নং-৯ এবং একই সালের ২২শে অক্টোবর মামলা নং-৩৫, ২০১৮ সালের ১১ই জুন মামলা নং-২৪, ২০১৯ সালের মামালা নং ৩১/১৬ ডিসেম্বর এবং একই সালের ২২শে সেপ্টেম্বর মামলা নং-২৮ সহ আরোও অনেক মামলা তার বিরুদ্ধে রয়েছে।
এব্যাপারে দৌলতপুর থানার (ওসি) আরিফুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই থানায় এসে একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরন করেছি। কিন্তু তিনি জামিনে বের হয়ে এসে আবার তার কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। সে গাঁ ঢাকা দিয়ে পালিয়ে আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।