করোনা মুক্তো হলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হওয়ার ২৪ দিন পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার ছোট ভাই মোরসালিন বিন মুর্তজার করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলও এসেছে নেগেটিভ। তবে আবারও মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হকের পরীক্ষার ফল এসেছে পজিটিভ।

 

পরীক্ষার জন্য রবিবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল মাশরাফিদের। মাশরাফি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে তারা জানতে পেরেছেন পরীক্ষার ফল।

 

বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত ১৯ জুন পরীক্ষা করিয়েছিলেন। পরদিন তার ফল আসে পজিটিভ। আক্রান্ত হওয়ার পর বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন তিনি। অনেকটা সুস্থ অনুভব করায় ডাক্তারের পরামর্শে মাঝে দুই দফায় পরীক্ষা করিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও পজিটিভ আসে ফল। এরপর আবার পরীক্ষা করালেন একটু সময় নিয়ে। এবার ফুরলো প্রতীক্ষা।

 

মোরসালিনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল গত ২৩ জুন, মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হকের ২৫ জুন। মাশরাফির মতো তারা দুজনও চিকিৎসা নিয়েছেন বাসায় থেকেই।

 

মাশরাফির করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরদিনই তার ৯ বছর বয়সী মেয়ে হুমায়রা ও সাড়ে ৫ বছর বয়সী ছেলে সাহেলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নড়াইল।

 

মাশরাফির শ্বাশুড়ী ও শ্যালিকা করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন আগেই। তারা নড়াইলে আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়েছেন ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে। মাশরাফির ঢাকার বাসার এক গৃহকর্মীও আগেই সুস্থ হয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে।

 

অ্যাজমার পুরনো সমস্যার কারণে মাশরাফিকে নিয়ে একটু শঙ্কার জায়গা ছিল। তবে তিনি জানালেন, পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়ার এই পরিক্রমায় খুব গুরুতর সমস্যা হয়নি তার। জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথা ঘোরানো, খাবারের স্বাদ হারানো, এসব অবশ্য ছিল।

 

সুস্থ হওয়ার খবর জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরাফি মঙ্গলবার সবাইকে আহ্বান জানালেন নিরাপদ থাকার ও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার।

 

“আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের সবার দোয়ায় আমার করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল এসেছে নেগেটিভ। আজকে রাতেই ফল জানতে পেরেছি। এই পুরো সময়টায় যারা পাশে ছিলেন, দোয়া করেছেন, অনেকে উদ্বিগ্ন ছিলেন ও নানা ভাবে খোঁজ নিয়েছেন বা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

 

“বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়েই আমি সেরে উঠেছি। যারা আক্রান্ত হয়েছেন, সবাই সাহস রাখবেন। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখবেন। নিয়ম মেনে চলবেন। সবাই নিরাপদে থাকবেন, ভালো থাকবেন। একসঙ্গে থেকে করোনাভাইরাসের সঙ্গে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

 

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এর আগে বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ও সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ। তারা সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

 

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225