কক্সবাজারের টেকনাফে তুচ্চ বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি ফার্মেসীতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার রেশ ধরে প্রতিষ্টানের মালিকের ব্যক্তিগত অফিসে হামলা চালিয়ে ২০ লক্ষ টাকা লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় অফিসের এক কর্মচারীকে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। হামলাকারীদের অব্যাহত হুমকি ও ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়ে দোকান মালিক।
শুক্রবার ১৭জুলাই ও গতিকাল শনিবার পৌর সভার বাস স্টেশন আবু হানিফ মার্কেট আরিফ মেডিকেল হল ও কায়ুকখালী পাড়া এলাকায় পৃথক ভাবে এই হামলা চালিয়েছে একদল দূর্বৃত্ত। এই ঘটনার সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি ভিডিও এবং কয়েকটি ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় কায়ুকখালী পাড়ার আবছার সোহেল নামের এক ব্যক্তি দোকানে অবস্থানরত আব্দুল আমিন কে মারার জন্য বারবার তেড়ে আসছে। এক পর্যায়ে দোকানের ভিতরে এসে আবদুল আমিন ও দোকানের কর্মচারীকে মারধর করে। এসময় সোহেলের ফুফাতো ভাই মৃত ইসলামের ছেলে সামি কাইছার নামের যুবক দোকানে অবস্থানরতদের হুমকি দিতে দেখে গেছে। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী দোকানদার আব্দুল জব্বার ও স্থানীয় কয়েকজন এসে হামলাকারী সোহেলকে শান্ত করে দোকান থেকে বাহিরে নিয়ে যায়।
ফার্মেসীর মালিক টেকনাফ বাস স্টেশন ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী আব্দুল করিম জানান, আমার অনুপস্থিতিতে আমার বড় ভাই আব্দুল আমিন দোকানে বসা ছিলো। অতর্কিত ভাবে সোহেল মাতাল অবস্থায় এসে দোকানের সামনে ময়লা ফেলার কারণ জানতে চেয়ে মাতলামী করতে থাকে। এক পর্যায়ে দোকানে অবস্থানরতদের উপর হামলা করে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার রেশ ধরে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়ায় অবস্থিত আমার বাড়ির নিচে আমার ব্যক্তিগত অফিসে পার্শ্ববর্তী মৃত ইসলামের ছেলে সামি কাইছারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় অফিসের কর্মচারী সাইফুলকে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় ২০ লক্ষ টাকা লুটপাট করে। এই ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আবছার সোহেল ও সামি কাইছেরের মুটোফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।