ফেনীর সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সাঈদ আনোয়ার (২৮) কে আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক করা হয়েছে। র্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে পৌর শহরের জিরোপয়েন্টে উপজেলা আ.লীগের কার্যালয়ের সমানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ।
সে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল।
পুলিশ ও র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সাঈদ আনোয়ার কে আটক করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি এবং তার সাথে থাকা একটি নাম্বারবিহীন এফজেড মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র ও মোটর সাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় র্যাবর নায়েব সুবেদার নূরুল ইসলাম বাদি হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
র্যাব আরো জানায়, মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় দর্শনার্থীদের প্রবেশে চাঁদা উত্তোলন, যুবলীগ নেতা গভি ধনের চোখ উপড়ে ফেলা, প্রায় ১৫ বছর আগে একই গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে নুরুন্নবীকে হত্যার মামলায় তার ১০ বছরের সাজা হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়, সে এবং তার সহযোগীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় এতে ১৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়, সুলাখালীর ছাত্রলীগ নেতা রকি, আমিরাবাদের শামীম, নুরুন্নবী হত্যার সাথে সে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, যুবলীগ নেতা নুর আলমের রগ কাটা, ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং উক্ত মামলার প্রধান আসামি, ২০১৭ সালে মুক্তা নামক এক নারীকে তার স্বামীর ঘর থেকে জোর করে দিনের পর দিন যৌন সঙ্গম সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন সময় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া সহ গত বছর ঈদুল আযহার রাতে তার নেতৃত্বে আমিরাবাদ ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা মো. শামীমকে তার নানার বাড়ি থেকে ফেরার পথে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে সোনাপুর তিনবাড়িয়া গ্রামে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ছিল।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) সাজেদুল ইসলাম জানান, আনোয়ারের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, ডাকাতি, পুলিশের উপর হামলা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও অস্ত্র সহ ১২টি মামলা রয়েছে। সে আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর তিন বাড়িয়া গ্রামের মো. হানিফের ছেলে এবং সোনাগাজী থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাকে গ্রেফতারে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।