কোরবানি উপলক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রতিবছর ভারতীয় গরু চোরাচালান হলেও এবার তা হয়নি। কঠোর নজরদারির কারণে কমেছে সীমান্তে হত্যাকান্ডও।
ভারতীয় পশু আসা বন্ধ হওয়ায় খামারিরা আশা করছেন এবার নিজেদের তৈরি করা পশুর ভাল দাম পাবেন তারা। কোরবানির পশুর বাজারকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তঘেঁষা আমবাগান গুলোতে জমে ওঠে গরু চোরাচালান। চোরাই পথে ভারতীয় পশু আসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন স্থানীয় খামারিরা। কিন্তু এবার স্থানীয় হাট-বাজারে এখনো দেখা মেলেনি ভারতীয় পশুর। এতে নিজেদের পালিত পশুর ভাল দামের আশা করছেন খামারিরা।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা সীমান্ত এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি করেছি। সব ধরণের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে এটা করেছি। এছাড়াও সম্ভাব্য যেসব সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান হয় এবং যারা করে তাদেরকে চিহ্নিত করে নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। সার্বিকভাবে গরু চোরাচালান কমে যাওয়ায় সীমান্ত হত্যাও কমে গেছে।
সম্প্রতি সীমান্তে দ্রুত ও কার্যকর টহল পরিচালনার জন্য বিজিবিতে যুক্ত হয়েছে অল টেরেইন ভেহিক্যাল (এটিভি)। আন্ত:সীমান্ত অপরাধ দমন, প্রতিবেশী দেশ থেকে অস্ত্র, বিস্ফোরক, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের চোরাচালান এবং মানবপাচার প্রতিরোধে এই ভেহিক্যাল যুক্ত করা হয়েছে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সীমান্তের ৩২৮ কিলোমিটার এলাকা বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ সব বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকায় নিñিদ্র নিরাপত্তা, নজরদারি এবং আন্ত:রাষ্ট্রীয় অপরাধ মোকাবিলায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ‘স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড ট্যাকটিকাল বর্ডার রেসপন্স সিস্টেম’ স্থাপন ও সম্প্রসারণের জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে যশোর জেলার পুটখালী এবং কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্তের ২৩ কিলোমিটার এলাকায় সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
তাছাড়া টেকনাফ সীমান্তে ৪৫ কিলোমিটার, নওগাঁ সীমান্তে ১৫ কিলোমিটার, দিনাজপুর সীমান্তে ১৫ কিলোমিটার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ১৫ কিলোমিটারসহ সর্বমোট ৯০ কিলোমিটার এলাকায় সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
# সূত্র বিজিবি পেজ#