ঈদে বিশেষ গাইডলাইন ডব্লিউএইচও’র!

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে এখন। ক্রমন্বয়ে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। এর মধ্যে আরেকটি ঈদের অপেক্ষায় মুসলিমরা। তা দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। ঈদুল আজহা যাতে নিরাপদভাবে শেষ হয়, সেটি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী গাইডলাইন প্রকাশ করছে ডাব্লিউএইচও।

 

ডাব্লিউএইচও’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই গাইডলাইনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, সামাজিক এবং ধর্মীয় জমায়েত নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়টিকে ‘খুব গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে ডাব্লিউএইচও।

 

যদি কেউ এ ধরনের জমায়েতের আয়োজন করে থাকেন, তবে তাদের ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে…

 

* নামাজে যারা যাবেন, তাদের সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মানার পাশাপাশি ঈদগাহে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।

 

* খোলামেলা স্থানে নামাজ আয়োজন করতে বলা হয়েছে, ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচলের সুবিধা কম থাকায় ঝুঁকি বেশি হবে।

 

* বড় জমায়েত এড়িয়ে যত সংক্ষিপ্ত পরিসরে পারা যায় ধর্মীয় আয়োজন শেষ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 

* কোনো আয়োজনে যদি অসুস্থ ব্যক্তি এসে পড়েন, তাকে যেন শনাক্তের পর আলাদা করা যায় তার ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে গাইডলাইনে।

 

* ওযুখানায় অ্যালকোহল-ভিত্তিক (কমপক্ষে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকতে হবে) হাত পরিষ্কারক রাখতে হবে।

 

* মসজিদ কিংবা ঈদগাহে যেসব স্থানে মানুষের বেশি হাত পড়ে, সেখানে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 

* কোরবানি দেয়ার সময় এবং পরে মাংস বিতরণের ক্ষেত্রে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা নীতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

 

* কোরবানির কোনো পশুকে অসুস্থ মনে হলে দ্রুত আইসোলেশনে রাখতে হবে।

 

এছাড়া, কোরবানি দেয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে গাইডলাইনে বলা হয়েছে, বাড়িতে এই কাজ না করা ভালো। আলাদা জায়গায় করা তুলনামূলক বেশি নিরাপদ হবে।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225