ত্যাগের মহিমা ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে।
মুসলমানদের ঘরে ঘরে বয়ে যায় অনাবিল আনন্দ ও খুশির বার্তা।
শনিবার সকালে নিকটস্থ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শেষে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রভুর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কুরবানী করেন।
করোনা পরিস্থিতিতে জাতীয় ঈদগাহসহ দেশের কোনো ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় হচ্ছে না। সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। নামাজ শেষে করোনামুক্তি, বিশ্বের শান্তি কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়।
হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে থেকে শুরু হয় কোরবানির এই প্রচলন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। ওই অনন্য ঘটনার স্মরণেই ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির এ রেওয়াজ চালু হয়।
মহান আল্লাহপাকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাঁরই রাস্তায় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এ ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় মুসলিম বিশ্বে কোরবানি ও ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে আসছে।