কালাপানি সীমান্ত বিতর্কের মধ্যেই ৯ মাস পর আবারও বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ভারত ও নেপালের কূটনীতিকরা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামী ১৮ আগস্ট ওই বৈঠক হতে পারে। নেপালের যে সব পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত সরকার মূলধন বিনিয়োগ করেছে মূলত সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করবেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি ভারতের কিছু অংশ যুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল। এটি দেশটির পার্লামেন্টে অনুমোদনও পায়। ওই নতুন মানচিত্রে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার অঞ্চলগুলোকে নেপালি ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি দুথদেশের মধ্য উত্তেজনা বেড়েছে।তবে সে উত্তেজনা চলার মধ্যেই বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও নেপাল।
বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন কাঠমাণ্ডুতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কাবাত্রাসহ অন্য কর্মকর্তারা এবং আর নেপালের তরফে প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শাঙ্কর দাস বৈরাগী।
ভুমিকম্পে বিপর্যস্ত নেপালের তরাই অঞ্চলে রেল পথ পাতা, তেলের পাইপ বসানো, পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, পলিটেকনিক কলেজ তৈরিসহ পরিকাঠামো উন্নয়নের একাধিক ক্ষেত্রে ভারত সরকার বিনিয়োগ করেছে। সেই কাজ কতদূর এগুলো তা বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে। নেপালের উন্নয়নের জন্য গত বছর বাজেট ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার।
ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে যে, প্রয়োজনীয় হলেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে কোনও আলোচনা আগামী সপ্তাহের বৈঠকে হবে না। কোভিড মোকাবিলা সাফল্যের সঙ্গে শেষ করার পরই দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনা হবে।নির্ভরযোগ্য এক সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আলোচনার জন্য প্রকৃত পরিবেশ চাই ও তার দায় বর্তায় ওলি সরকারের উপরই। তা যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ আলোচনা নয়।