সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মনির স্মরনে মানিকগঞ্জে স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পন, মানববন্ধন ও বৃক্ষরোপন কর্মসুচী পালিত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-পাটুরিয়া সড়কে রেল লাইন সংযোগের দাবী জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকার দুর্ঘটনাস্থলের স্মৃতিস্তম্ভের পাশে যৌথভাবে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব, ঘিওর প্রেসক্লাব,তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর স্মৃতি পরিষদ, বারসিক, রেইনবো থিয়েটারসহ বিভিন্ন সংগঠন এসব কর্মসূচী পালন করে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট দিপক কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালিন সময় বক্তব্য রাখেন,,মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী,সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস,বারসিক প্রতিনিধি বিমল রায়, কৌড়ি এম এ রউফ কলেজের অধ্যাপক নাসিম উদ্দিন,তারেক মাসুদ-মিশুক মনির স্মৃতি পরিষদের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক রিপন আনসারী,কমরেট শামসুল আলম খান,কমরেট দুলাল বিশ্বাস, রেইনবো থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা গিনি আলম,নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মহাসড়কের পাশে নিরাপদ সড়ক ও ঢাকা-পাটুরিয়া সড়কে রেল লাইন সংযোগের দাবীসহ বিভিন্ন দাবীতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন শেষে তারেক মাসুদ-শিশুক মুনীরের স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে দুর্ঘটনাস্থল ও বানিয়াজুরী এলাকায় বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,২০১১ সালের ১৩ আগষ্ট সকালে কাগুজের ফুল সিনেমার সুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকা ফিরছিলেন প্রখ্যাত চলচিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, বিশিষ্ঠ সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ ৯ জনের একটি দল। পথিমধ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক এলাকায় তাদের বহনকৃত মাইক্রোবাসটি পৌছালে বিপরীত গামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহরে বাসের সঙ্গে সংর্ঘষ বেধে যায়। এসময় মাইক্রোস বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। মাইক্রো বাসের ভেতরে থাকা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ প্রডাকশন সহকারী ওয়াসিম,জামাল এবং মাইক্রোবাস চালক মুস্তাফিজুর রহমানসহ ৫জন নিহত হন। সেই দুর্ঘটনায় আহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম জলি।
#