অসহায় মানুষদের আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণের অকৃত্রিম স্বপ্নদ্রষ্টা এবং অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখানোর দুঃসাহসিক সম্মুখ যোদ্ধা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ইতিমধ্যে অগ্রাধিকারমূলক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি হিসেবে শতভাগ বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতার সেবা কার্যক্রম চালু করেছেন।
তথ্য সূত্রে জানা যায় ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ১০০ টি উপজেলার জন্য শতভাগ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা অর্থাৎ (নির্যাতিত তালাক প্রাপ্ত) নারীদের ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ উল্লেখিত কার্যক্রমের আওতায় মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি’র অক্লান্ত প্রচেষ্টায় (তালিকা সংযুক্তি-ক)তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সরিষাবাড়ী উপজেলা।
যার প্রেক্ষিতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন শতভাগ স্বচ্ছতার সহিত সরিষাবাড়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার যে সকল যোগ্য ব্যক্তি ভাতা বঞ্চিত বা এখনো কোন ভাতার আওতায় আসেনি, তাদের যথার্থ তথ্যাদি সংগ্রহ করে কার্যক্রমের আওতায় আনতে। তাই উল্লেখিত চলমান কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হতে নিজ নিজ ওয়ার্ডের মেম্বার ও কাউন্সিলরদের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে এবং ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কর্তৃক ঘোষিত নির্ধারিত তারিখ বা স্থানে উপস্থিত হয়ে স্বস্ব জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি, স্বামীর মৃত্যু সনদ ফটোকপিসহ মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে বলা হয়।
সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভাতা প্রাপ্তিতে কোন অর্থ ব্যয় করতে হবে না। বিনামূল্যে দেয়া হবে এই কার্ড। শুধুমাত্র ভাতা প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত শর্তাবলীগুলি পূরণ করলেই যথেষ্ট। যেমন সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) থাকতে হবে। দুস্থ অসহায় অস্বচ্ছল হতে হবে। বয়স্ক ভাতার ক্ষেত্রে পুরুষের সর্বনিম্ন বয়স ৬৫ বছর অর্থাৎ( ৩০ জুন ১৯৫৫ সাল) বা তার পূর্বে জন্ম হতে হবে এবং নারীদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ৬২ বছর অর্থাৎ (৩০ জুন ১৯৫৮ সাল) বা তার পূর্বে জন্ম হতে হবে এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতার ক্ষেত্রে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতার প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র থাকতে হবে। অতঃপর বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে বলে জানান।
পাশাপাশি ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা সম্পর্কে বলেন। যিনি সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী। যিনি সরকারী(কর্মচারী) চলমান পেনশনভোগী। যিনি দুস্থ মহিলা হিসেবে ভিজিডি কার্ডধারী এবং যিনি অন্যকোনভাবে নিয়মিত সরকারী/ভাতা পেয়ে থাকেন এবং কি যিনি কোন বেসরকারী সংস্থা/সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হতে নিয়মিত আর্থিক অনুদান পেয়ে আসছেন। তারা এই কার্যক্রমের আওতায় আসতে পারবেননা বলে জানান। এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টাকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সরিষাবাড়ী উপজেলাবাসী।