জামালপুরের সরিষাবাড়িতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচির আয়োজন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন।
১৯৭৫ সালের শোকাবহ এই কালদিবসে ভোররাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু তার সর্বস্ব দিয়ে এদেশ কে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এদেশ কে সোনার বাংলায় পরিনত করা, তার সেই লালিত স্বপ্নকে পূরণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন যারা অন্যায়ভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করেছেন তাদের বিচার এই বাংলার বুকেই হবে। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে কাজ করার আহবান জানান।
সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মিলাদ ও আনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক উপাদক্ষ্য হারুন অর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য, উপজেলা প্রশাসনের সহকারীবৃন্দ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক, ছাত্রলীগ ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বক্তব্য শেষে জাতির পিতার রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য দোআ ও মিলাদ মাহফিল করা হয়।