জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ডা. জালাল আহমেদ (৪০) নামে একজন ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসককে আটক করেছে র্যাব ১৪। এসময় তার সহযোগীকেও আটক করা হয়। বুধবার দুপুরে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন জালাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে র্যাব-১৪ (সিপিসি-১) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃত জালাল আহমেদ গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার হাসান আহমেদের ছেলে বলে জানা গেছে।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, আটককৃত ভুয়া চিকিৎসক জালাল আহমেদ নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন, এমবিবিএস ও এফসিপিএস ডিগ্রিধারী পরিচয় দিয়ে সেনাবাহিনীর লোগো ব্যবহার করে প্রেসক্রিপশন বানিয়ে দির্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল। এ ঘটনায় র্যাব তাকে আটক করে তার মালিকানাধীন জালাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি, ওষুধ, ভুয়া এনআইডি কার্ড, প্রেসক্রিপশন, সিল, লিফলেটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে জামালপুর র্যাব-১৪ (সিপিসি-১)-এর কোম্পানি কমাণ্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানা মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন এবং এমবিবিএস ও এফসিপিএসসহ অনেকগুলো ডিগ্রিধারী পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরিষাবাড়ীতে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকাল থেকে দুপুর নাগাদ পিংনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তারই মালিকানাধীন জালাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এসময় তাকে এবং তার অপর সহযোগী পিংনা আমতলা এলাকার রাসেল মিয়াকে আটক করা হয়। তাছাড়া ওই ভুয়া চিকিৎসক নিজেকে ঈশ্বরদী (পাবনা), নারায়নগঞ্জ ও সিলেটের নাগরিক হিসেবে একাধিকবার একাধিক ভুয়া পরিচয় দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, ডায়াগনোস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটি পুরোপুরি সিলগালা করতে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের কাছে চিঠি দেওয়া হবে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।