পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে অসংখ্য ডুব চরের কারনে নাব্যতা সংঙ্কট দেখা দিয়েছে। একারনে নৌ-রুটে ফেরি চলাচল মারাতক্ব ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে পাটুরিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক পরের অপেক্ষায় রয়েছে।
বুধবার বিকালে পাটুরিয়া সংয়োগ মোড় থেকে আরিচা ঘাট পর্য়ন্ত পাঁচ কিলোমিটারসহ ঘাট এলাকায় দুই ট্রামিনালে পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তিন চার দিন অপেক্ষা করে এসকল পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পার হচ্ছে। এছাড়া শিমুলীয়া- কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে রাতে ফেরি চরাচল বন্ধ থাকায় ওই নৌ-রুটের বাড়তি চাপ পড়েছে এ ঘাটে। তবে যাত্রীবাহী বাসের তেমন চাপ নেই। এতে চরম দুর্ভোগে পরেছে ট্রাকের চালকরা।
বিআইডব্লিউটিসির, পাটুরিয়া ঘাটে এজিএম (মেরিন) মো. আব্দুস সাত্তার জানান, নৌ-রুটে এ্যাপ্রোজ চ্যানেলে অসংখ্য ডুব চর দেখা দিয়েছে। একারনে দুই তিন কিলোমিটার ভাটি দিয়ে ফেরি চলাচল করছে। এছাড়া রোরো ফেরি গুলোর তলা ডুবো চরে লেগে যাবার আশংঙ্কায় ফুল লোড নিয়ে যেতে পারছে না। ইতিমধ্যে চারটি ড্রেজার বসিয়ে খনন কাজ করা হচ্ছে।এতে করে ফেরি পারাপারে প্রায় দ্বিগুন সময় লাগছে। ফলে ফেরি ট্রিপ সংখ্যাও কমে গেছে। তবে এ্যাপ্রোজ চ্যানেলটিতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য পুরো দমে কাজ করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটের এজিএম(বানিজ্য) খন্দকার মো.তানভীর হোসেন জানান, মুলত শিমুলীয়া- কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে ফেরি রাতে বন্ধ থাকায় ওই রুটে বাড়তি পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর অতিরিক্ত চাপে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। ঘাট এলাকায় প্রায় পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষোয় রয়েছে। ছোট-বড় ১৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ থাকলেও যাত্রীবাহী যানবাহনের তেমন চাপ নেই।
কয়েকজন পণ্যবাহী ট্রাক চালক ক্ষোভের সাথে বলেন, ট্রাক চাইলাই বলে কি আমরা মানুষ না। তিন দিন ধরে ঘাটে পারে অপেক্ষায় বসে আছি। রোদ-বৃষ্টির মধ্যে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। সাথে থাকা টাকা সব ফুরিয়ে গেছে। এদিকে যাদের মালামাল নিয়ে যাচ্ছি তারা ফোন করে তাগাদা দিচ্ছে। কখন পার হতে পারবো বলতে পারছি না।#