মানিকগঞ্জ ঘিওরে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, মানিকগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে সম্প্রতি গোবিন্দ চৌহানের ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর নির্মিত দেয়াল অবৈধ ও বেআইনি ভাবে ভাঙ্গার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ঘটনা স্থল ঘিওর সদর ইউনিয়নের কুস্তা বন্দর এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক বাবু তাপস রাজ বংশী, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট জেলা শাখার সভাপতি শ্রী বিকাশ রাজ বংশী, জেলা রাজ বংশী সংস্কার মহাজোটের সভাপতি শ্রী অনিল রাজ বংশী, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট শিবালয় শাখার সভাপতি শ্রী সুজন বিশ্বাস, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট শিবালয় শাখার সাধারন সম্পাদক শ্রী অতুল কুমার নন্দী, ভোক্তভোগী গোবিন্দ চৌহান, বোন বিমলা প্রমূখ। এতে স্থানীয় সংখ্যালুঘু পরিবারের নেতৃবৃন্দসহ নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮/০৮/২০২০ ইং তারিখ বিনা নোটিশে উপজেলা নিবার্হী অফিসার অন্যায় অবৈধ ভাবে স্বাথার্ন্বেষী মহল কতর্ৃক প্রভাবিত হয়ে গোবিন্দ চৌহানের পৈতৃক সম্পত্তি , মন্দির ভাঙ্গচুর ও গোবিন্দ চৌহানের বিরুদ্ধে মামলা প্রদানের হুমকি দেওয়ায় ন্যায় বিচারের প্রার্থনা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন পেশ করেন গোবিন্দ চৌহান।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- অবিলম্বে হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য,বসতভিটার সীমানা নিয়ে গোবিন্দ চৌহানের সঙ্গে প্রতিবেশি ফারুক হোসেনের বিরোধ চলে আসে। গত ২৬ আগস্ট গোবিন্দের বাড়ির সীমানার টিনের বেড়া খুলে যায়। পরের দিন বিকেলে বেড়াটি মেরামত করতে গেলে ফারুক এতে বাধা দেন। এ নিয়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ফারুক হোসেনসহ স্থানীয় লোকজন গোবিন্দ চৌহানের বিরুদ্ধে নিবার্হী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার আইরিন আক্তার বলেন, গত ২৭ ই আগষ্ট একই বিষয় নিয়ে আমার মোবাইলে রাতের বেলা হোয়াটসআপে একটি ক্যামেরা ফুটেজ আসে। ফুটেজে মোঃ ফারুক হোসেন কাজে বাধা দিয়েছেন তাকে ধরে গোবিন্দ চৌহানের পরিবারের ১৫/১৬ জন লোক সবাই মিলে মারধর করছে। এবং সেখানে মারামারির ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী আমাকে বিষয়টি অবগত করেন সাথে লিখিত অভিযোগ করেন। পরের দিন বেলা ১১ টায় থানার ফোর্স ,সার্ভেয়ার,নায়েবসহ সরকারি কর্মকতার্দের নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই। যে জায়গাটি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল সে জায়গাটি আগে পরিমাপ করি । এবং দেখা যায় রাস্তার আট ফুট জায়গা দখল করে গোবিন্দ চৌহান বেড়া দেয়। চার মাস পূর্বে বেড়ার কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা বন্ধ না করে জনগনের চলাচলের রাস্তা সহ সেখানে সরকারি জায়গা সহ টিনের বেড়া দিচ্ছিল। বেড়া গুলো উঠিয়ে তাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আমরা চলে আসি। এবং সাথে সাথে জেলা প্রশাসক সারকে বিষয়টি অবগত করে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গোবিন্দ চৌহানকে লিসের আবেদন করতে বলা হয়।