দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কয়েক দিনের টানা বর্ষন ও উজানের ঢলে শাখা যমুনা নদির পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবীত হয়েছে।
নদি পাড়ের গ্রাম গুলোর বাড়ী-ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায়, একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রায় নিয়েছে অর্ধশত পরিবার। এছাড়া নদি গর্ভে বিলিন হতে শুরু করেছে ফসলি জমি।
সোমবার উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর ঘাট পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শাখা যমুনা নদির পানি বৃদ্ধি পেয়ে, রাজারামপুর ঘাটপাড়া ও ভাটাপাড়ার অধিকাংশ বাড়ী-ঘর রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ভাটাপাড়া ও ঘাটপাড়ার অর্ধশত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে ফুলবাড়ী শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রী কলেজ ও কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে। ঘাটপাড়া গ্রামের বাসীন্দারা বলেন পানি বৃদ্ধি পাওয়া অব্যহত থাকলে আর দু-এক দিনের মধ্যে ওই এলাকার আরো বাড়ী-ঘর পানির নিচে তলিয়ে যাবে। বাসুদেবপুর বড়বন্দর এলাকার কিছু নিচু এলাকার
বাড়ী-ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারাও চরম বিপাকে পড়েছে।
এদিকে নদির পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের ফসলি জমি নদি গর্ভে চলে যেতে শুরু করেছে। খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের কিসমত লালপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ইতোমধ্যে ১০ বিঘা জমি নদিতে ভেঙ্গে পড়েছে। কিসমত লালপুর গ্রামের মাসুদ রানা জানায়, তাদের চার বিঘা জমির মধ্যে দুই বিঘার অধিক নদিতে ভেঙ্গে পড়েছে, একই ভাবে কিসমত লালপুর গ্রামের তরনীকান্ত, ভূপেন্দ্রনাথ এর জমিও নদিতে ভেঙ্গে পড়েছে। খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মন্ডল বলেন গত ১০ বছরে প্রায় ৫০ বিঘা জমি নদি গর্ভে বিলিন হয়েছে, তার নিজের জমিও গেছে ১২ বিঘা।
নদির পানি বৃদ্ধিতে একদিকে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক পরিবার, অপরদিকে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে শীতকালিন সবজি ক্ষেতের।
এই বিষযে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, এই প্রর্যন্ত চার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তবে দু-একদিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুর আলম সুমন বলেন পানিবন্ধি হওয়া পরিবারের জন্য ত্রানকার্য্যক্রম শুরু করা হয়েছে। নদি ভাঙ্গনের বিষয়টি পানিউন্নায়ন মন্ত্রনালয়কে অবহিত করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।