কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউপির দফাদার পাড়া গ্রামে ঋণের কিস্তি আদায়কালে গ্রামীণ ব্যাংকের এক সুপারভাইজার কে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
নুরুজ্জামান (৩৮) নামে ঐ সুপারভাইজার গ্রামীণ ব্যাংক হোসেনাবাদ শাখায় কর্মররত ছিলেন। সে দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
দৌলতপুর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে ফিলিপনগর দফাদার পাড়া গ্রামের মমিন দফাদারের বাড়ির টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে নুরুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করেছে।
থানা পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংক হোসেনাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ সালাউদ্দিন জানান , বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে নুরুজ্জামান কিস্তি আদায়ের জন্য দফাদারপাড় ১২ নং কেন্দ্রে যায়। সেখানে মমিন দফাদারের স্ত্রী হীরা খাতুনের অনেকগুলো কিস্তি বাঁকি থাকায় তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মমিন দফাদার নুরুজ্জামান কে বাড়ির ভিতরে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে টয়লেটের মধ্যে ফেলে রেখে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে সকল সদস্য পালিয়ে যায়।
নুরুজ্জামানের চাচাতো ভাই শাওন জানান, সন্ধ্যা হলেও তার কোন খোঁজ না পেয়ে হোসেনাবাদস্থ ব্যাংকে আসলে জানাযায় সে কিস্তি আদায় করতে গিয়ে আর ফেরৎ আসেনি। এরপর থানায় খবর দিলে ব্যাপক অনুসন্ধান করে ঐ বাড়ির দরজা ভেঙ্গে টয়লেট থেকে গলাকাটা অবস্থায় নুরুজ্জামানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
দৌলতপুর থানার ওসি জহুরুল আলম জানান, অনেক খোঁজাখুজির পর মমিন দফাদারের বাড়ির তালা ভেঙ্গে টয়লেটের ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।