নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় সিদ্দিক ভূঁইয়া (৫৫) নামের এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) কবিরাজের নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন জায়গায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের ঘাসিরদিয়া এলাকার মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সিদ্দিক ভূঁইয়া শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের ঘাসিরদিয়া গ্রামের আলাউদ্দীন ভূঁইয়ার ছেলে। তবে কারা তাকে হত্যা করতে পারে, এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারছে না তার পরিবার। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানান, বুধবার রাতে সিদ্দিক ভূঁইয়া তার নিজ বাড়িতে ফেরেননি। ওই রাতেই কে বা কারা তাকে গলাকেটে হত্যা করে ওই নির্জন স্থানে ফেলে রাখা হয়। গলাকাটার পাশাপাশি তার পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে একটু দূরের একটি নির্জন জায়গায় গলাকাটা অবস্থায় তার মৃহদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন।
তবে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘাসিরদিয়া এলাকার মধ্যপাড়া গ্রামে স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সিদ্দিক ভূঁইয়া বসবাস করতেন। তিনদিন আগে এই ৫৫ বছর বয়সে নতুন করে আরেকটি বিয়ে করে ওই বউ ঘরে তোলেন তিনি। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিলও। এই ঘটনা নিয়ে পরিবারটিতে অশান্তি বিরাজ করছিলো।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, ওই কবিরাজকে কি কারণে গলা ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হল সেই রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।