স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরগুনার তালতলীতে ১৫ মাসের বকেয়া বেতন ও ২৩ মাসের যাতায়াত ভাতা দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে গ্রাম পুলিশরা স্বপরিবার নিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে।
মঙ্গলবার (০২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সকল গ্রাম-পুলিশ সদস্যরা অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। দুই ঘন্টা পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও ১০ দিনের মধ্যে বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধের আশ্বাস দিলে অবস্থান কর্মসূচি স্থাগিত করেন তারা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া বেতন না পেলে এ কর্মসূচি চলবে বলেও জানানো হয়।
অবস্থান ধর্মঘটে গ্রাম-পুলিশ সমিতির সভাপতি ও বড়বগী ইউনিয়নের দফাদার চাঁন মিয়া বলেন, ১৫ মাস বেতন ও ২৩ মাস যাতায়াত ভাতা বাকি রয়েছে। তবে সরকারী ভাবে যে বেতন ভাতা দেওয়া হয় সে টা নিয়মিত পেয়েও ইউনিয়ন পরিষদের অংশটি বকেয়া রয়েছে। যেখানে বেতনের বড় অংশ হলো ইউনিয়ন পরিষদের। ইউনিয়ন পরিষদের অংশে একজন গ্রাম পুলিশের প্রায় ৮০-৯০ হাজার টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। ফলে বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রতিটি গ্রাম পুলিশ পরিবার। তিনি আরো বলেন, কতটা কষ্ট হলে স্বপরিবার নিয়ে আজ আমাদেরও অবস্থান কর্মসূচিতে আসা লাগছে। আমাদের এ কষ্ট দেখার কেউ নেই। সরকার প্রধানের কাছে আমাদের আকুল আবেদন যাতে আমাদের দাবি গুলো মানেন।
এ দিকে কর্মসূচি চলার কিছুক্ষন পরে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি-উল কবির ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান গ্রাম পুলিশ নেতাদের সাথে বসে ১০দিন সময় নেয়। অপর দিকে যদি আগামী ১০ দিনে বেতন- ভাতা পরিশোধ না করা হয় তাহলে এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান গ্রাম পুলিশ নেতারা।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তাদের বকেয়া বেতান-ভাতার জন্য ১০ দিনের সময় নেয়া হয়েছে। আশা করি এ সময়ের মধ্যে তাদের বকেয়া বেতনের টাকা পরিষদ করা হবে। কেন বেতন ভাতাদি দিতে বিলম্ভ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা কালীন দলিল ও ইজারাদাররা ঠিক ভাবে টাকা না দেওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। তিনি আরও বলেন গত প্রায় ৪ মাস আগে আমি নিজ উদ্যোগ নিয়ে গ্রাম পুলিশদের বকেয়া বেতনের কিছু টাকা পরিশোধ করেছি।