, , , ,

বেনাপোল স্বাস্থ্য বিভাগে পাসপোর্ট যাত্রী নানা রকম ভোগান্তী

মোঃ নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ

দেশের বৃহত্তর স্থল বন্দর বেনাপোল। এ বন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হওয়ায় দেশের সিংহ ভাগ পাসপোর্ট যাত্রী এ পথে ভারতে আসা যাওয়া করে থাকেন।

করোনা ভাইরাসের মহামারির কারনে দেশের সকল স্থল পথে সব ধরনের ভিসাধারী পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে প্রবেশে সাময়িক স্থগিত থাকলেও একমাত্র বেনাপোল স্থল পথ সকল পাসপোর্ট যাত্রীদের জন্য খোলা রেখেছেন বাংলাদেশ সরকার। অথচ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের লোক স্বল্পতার কারণে প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছেন ভারত থেকে নিজ দেশে ফিরে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা।

পটুয়াখালীর ভুক্তভোগি নিরাঞ্জন চন্দ্র দাস বাগেরহাটের সুকুমার দেবনাথ নারায়ণগঞ্জের প্রদীপ বিশ্বাস নড়াইলের আশুতোষ দেবনাথ নামের এক পাসপোর্ট যাত্রী বলেন, আমি মেডিকেল ভিসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য গত কয়েকদিন আগে ভারতে গিয়েছিলাম। সেখানে ডাক্তারি সেবা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে নিজ দেশে ফিরে আসি। বাংলাদেশে ইমিগ্রেশনে আসতেই স্বাস্থ্য বিভাগ জানায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে হবে। আমি প্রস্তুত থাকলেও স্বাস্থ্য বিভাগের ডেক্সে দায়িত্বে থাকা এক ম্যাডাম (জেবুন্নেছা) জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নমুনা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা আসবেন আর সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

করোনা সংক্রমন এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন আত্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই আছে। সেই সা্থে বেড়েই চলেছে লাশের মিছিল। আর করোনাকালিন এই সময়ে দুরপাল্লার যানবহন বন্ধ এমন অবস্থায় দুরদুরান্তে ফিরে যাওয়া পাসপোর্ট যাত্রীদের নমুনা দিতে কেন ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে ? এমন প্রশ্নে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের একই উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা উপজেলা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করছেন আবার বেনাপোল চেকপোস্ট স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহ করছেন। মূলতপক্ষে এ নমুনা সংগ্রহ সেখান থেকে নেওয়ার কথা নয় তবুও আমরা নিচ্ছি। কারণ আমাদের সরকারি নির্দেশনা আছে আরটিপিসিআর টেষ্ট ছাড়া কোন পাসপোর্ট যাত্রী আসবেন না। আমরা ও ইমিগ্রেশন থেকেও যাত্রীদের বারবার আরটিপিসিআর সম্পর্কে জানানো হচ্ছে তারা যেন এ রিপোর্ট ছাড়া না আসে। কিন্তু অনেকে সেটা মানছেন না। কেউ কেউ চলে আসছেন আবার কেউ কেউ এন্টিজেন টেষ্ট করে নিয়ে আসছে। একারণে একই ব্যক্তি দ্বারা দুই জায়গায় কাজ করা লাগছে। সেই সাথে আমাদের আরো বেশি কষ্টটা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আজ ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এটা তো আমাদের জন্য অতিরিক্ত চাপ। এখন আমি হেল্থ কমপ্লেক্স চালাবো নাকি ওখানে পাঠাবো। একটা নমুনা ওখান থেকে নিয়ে উপজেলায় সংরক্ষণ করতে হবে, এখান থেকে যশোরে পাঠাতে হবে, সেখান থেকে রিপোর্ট আসবে। ভারতে যাতায়াত পাসপোর্ট যাত্রীরা একটু সচেতন হলে আমাদের এবং তাদেরকে এতোটা দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।

স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল দুপুর ১টা ৩০মিনিটে একবার ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় পাসপোর্ট যাত্রীদের নমুনা নেওয়া হয়েছে।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225