আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছাসে আমতলীর নিম্না লসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ২৪০ টি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। এতে ৩৯ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার।
জানাগেছে,ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পায়রা নদীতে বিপদসীমার উপরে ৬২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী সংলগ্ন আমতলী পৌরসভাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।
এতে উপজেলার ২৪০টি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। এতে ৩৯ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মৎস্য বিভাগ। চাষীরা জানান, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে সকল মাছ ভেসে গেছে। মাছ ঘের থেকে ভেসে যাওয়ার চাষী নিঃস্ব হয়ে গেছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ মাছ চাষীদের আর্থিক সহযোগীতার দাবী করেন চাষীরা। এদিকে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের খোজ খবর নিতে উপজেলা মৎস্য বিভাগ কাজ করছে। বৃহস্পতিবার মৎস্য বিভাগ ক্ষতিগ্রস্থ তালিকা তৈরি করে আর্থিক অনুদানের জন্য বরগুনা জেলা মৎস্য অফিসে প্রেরন করেছে।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মাছ চাষী নুরু মৃধা বলেন , পানিতে ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। এতে দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী পৌর শহরের বাঁশতলা গ্রামের দেলোয়ার ফকির বলেন, পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুই একর জমির মাছের ঘের তলিয়ে সকল মাঝ ফেসে গেছে। ঘেরের চারিপাশে জাল দিয়েও রক্ষা করতে পারিনি। তিনি আরো বলেন, এতে আমার দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
একই গ্রামের লাল মিয়া হাওলাদার ও জাহিদ ফকির বলেন, সব শেষ। আঝে শুধুই স্মৃতি। এতো পানি ১০ বছরেও দেখিনি। তারা আরো বলেন, মাছের ঘের তলিয়ে অন্তত ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে উপজেলার ২৪০ টি মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত ৩৯ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের আর্থিক অনুদানের জন্য তালিকা করে বরগুনা জেলা মৎস্য অফিসে প্রেরন করেছি। অনুদান পেলে চাষিদের সহযোগীতা করা হবে।