মোঘল সুমন শাফকাত,বানারীপাড়াঃ
বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে এ উপজেলার মানচিত্র। নদী সংলগ্ন দান্ডোয়াট, ধানহাটখোলা, শিয়ালকাঠী, বাংলাবাজার, নলেশ্রী, মসজিদবাড়ী, দাসেরহাট, কালিরবাজার, চাউলাকাঠি, বাসার, গোয়াইলবাড়ি গ্রামের বহু বসত বাড়ি-ঘর,ফসলি জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভয়াল সন্ধ্যার ভাঙনে বহু পরিবার তাদের ভিটে মাটি হারিয়ে এখন নিশ্বঃ। সরেজমিন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাস্যমতে সন্ধ্যা নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার ভাঙন বেড়েই চলছে। যার ফলে কপাল পুড়ছে নদী পাড়ের অসংখ্য সাধারণ পরিবারের। আর কপাল খুলছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। এখানে পাল্লা দিয়ে বালু উত্তোলনের জন্য কার কি খোয়া গেলো তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। ওই সব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এক জায়গার বালু মহালের ইজারা এনে অন্য জায়গা থেকে প্রভাব খাটিয়ে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলীয় ছত্রছায়ায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা নদীর ইজারা বর্হিভূত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় উপজেলার ইলুহার বিহারীলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খোদাবখ্সা, মিরেরহাট ও জম্বদ্বীপ সাইক্লোন শেল্টার যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলিন হতে পারে এমন আশংকা স্থানীয়দের। ওই গ্রাম গুলোতে ভাঙনের কারনে বসত ঘর, ভিটামাটি ও কয়েক একর ফসলি জমি সহ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। পূনরায় নতুন করে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। কয়েক বছর পূর্বে ক্ষতিগ্রস্থরা নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে ‘আশ্বাস নয় বাস্তবায়ন চাই’ ¯োগানকে সামনে রেখে কয়েক হাজার মানুষ মানববন্ধন করে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি ও দিয়েছিলেন। এছাড়া সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ, ব্রাক্ষ্মনকাঠি, কাজলাহার, সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের নলেশ্রী, দিদিহার, মসজিদবাড়ি, তালাপ্রসাদ, জিরারকাঠি ও চাখার ইউনিয়নের কালিরবাজার এবং চাউলকাঠি গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ওই গ্রামগুলোর বিস্তীর্ন এলাকা ইতিমধ্যে সন্ধ্যা নদী গ্রাস করায় শত শত পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম এর পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিত কিছু কিছু স্থানে বালুর বস্তা ফালানো হয়েছে।