আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
ক্রেতা নেই আমতলী উপজেলায় শ্রেষ্ঠ ষাড় কালা পাহাড়ের। এতে কালাপাহাড় নিয়ে বিপাকে পরেছেন মালিক প্রবাসী মোঃ আলমগীর গাজী। প্রাণী সম্পদের অনলাইন গবাদী পশুর হাটেও ক্রেতা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত ন্যায্য মুল্যে কালা পাহাড়কে বিক্রির অভিমত ব্যক্ত করেছেন আলমগীর। কালা পাহাড়ের মুল্য হাকা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোঃ মমিন গাজীর ছেলে আলমগীর গাজী ধার দেনা করে ২০০২ সালে স্বজনদের মায়া ত্যাগ করে সৌদি আরব যান। দীর্ঘ ১৬ বছর সৌদি আরব কাজ শেষে ২০১৮ সালে দেশে আসেন। ১৬ বছর স য়ের সাড়ে নয় লক্ষ টাকা নিয়ে কর্মহীন আলমগীর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের এক কর্মকর্তার পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেন গাভী পালনের। ২০১৮ সালের নয় লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয়ে ঝিনাইদহ থেকে পাঁচটি গাভী কিনে গাজী ডেইরী ফার্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এরপর তাকে আর পিছু তাকাতে হয়নি। ওই বছরেই কালা পাহাড়ের জন্ম হয়। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দফতরের তত্বাবধানে দুই বছর ছয় মাসে কালা পাহাড় দৈত্যে পরিনত হয়েছে। ওই কালাপাহাড় গত ৫ জুন আমতলী উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের আয়োজিত প্রদর্শনীতে অংশ নেন। এতে উপজেলায় ষাড় ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পুরুস্কার ভাগিয়ে নেন। মালিক আলমগীর গাজী কালা পাহাড়ের দাম হেকেছেন ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু কালা পাহাড়ের ক্রেতা নেই আমতলীতে। প্রাণী সম্পদের অনলাইন গবাদী পশুর হাটেও কালা পাহাড়ের ক্রেতা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে কালা পাহাড়কে নিয়ে বিপাকে পরেছেন মালিক। দ্রুত ন্যায্য মুল্যে কালা পাহাড়কে বিক্রির আশা ব্যক্ত করেছেন মালিক আলমগীর গাজী।
কালা পাহাড় ও গাজী ডেইরি ফার্মের মালিক আলমগীর গাজী বলেন, গত আড়াই বছর ধরে কালা পাহাড়কে অতি আদর যত্নে লালন পালন করেছি। বর্তমানে কালা পাহাড়ের ওজন প্রায় ৩০ মণ। কিন্তু কালা পাহাড়কে বিক্রির জন্য স্থানীয়ভাবে ক্রেতা খুজে পাচ্ছি না। ক্রেতা পেলে ন্যায্য মুল্যে বিক্রি করে দেব। একে লালন পালন করা খুবই কষ্টসাধ্য। তিনি আরো বলেন, আমি কালা পাহাড়ের দাম হেকেছি দশ লক্ষ টাকা।
আমতলী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অভিজিত কুমার মোদক বলেন, উপজেলায় ষাড় ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ কালা পাহাড়কে বিক্রির জন্য আমরা অনলাইনসহ স্থানীয়ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে কালা পাহাড়ের স্থানীয়ভাবে ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রি করতে না পারলে কালা পাহাড়কে নিয়ে খ্বুই সমস্যায় পড়বে মালিক আলমগীর। তিনি আরো বলেন, ৩০ মণ ওজনের কালাপাহাড় উপজেলা প্রানী সম্পদ দফতরের তত্বাবধানে দেশীয় পদ্ধতি লালন পালন করা হয়েছে।