মোঘল সুমন শাফকাত, বানারীপাড়াঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের একটি মানবিক পোষ্ট দেখে সহায়তার হাত বাড়ালেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান। ঘটনার সূত্রপাত বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের করপাড়া গ্রামের আলামিন আকনের ৩ বছর ১০ মাস বয়সের শিশু সন্তান শাহ জালালের পা পিছলে পায়ের গোড়ালির হাড় ফাকা হয়ে যায়। এ অবস্থায় সোমবার ১২ জুলাই ওই শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য বানারীপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে এক্সরে করতে বলেন। হাসপাতালের এক্সরে বিভাগেই এক্সরে হয় শিশু শাহ জালালের। তবে সেখানে শিশুটির দিনমজুর পিতাকে গুনতে হয় ২ শত ৫০ টাকা। পরে পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে আসলে বলা হয় ব্যান্ডেজ করতে ৭ শত টাকা লাগবে। করোনাকালীন এই সর্বাত্মক লকডাউনে কর্মহীন দিনমজুর পিতার পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় অসহায় পিতা বিষয়টি প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সুজন মোল্লাকে জানালে ওই শিশুটির পিতার মোবাইল ফোন দিয়ে কথা বলেন জরুরী বিভাগে থাকা এক স্টাফের সাথে। তবে পরিচয় পেয়ে তিনি সাপ্লাই নাই বলে ফোন কেটে দেন। এরপরে ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি পোষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয় সাংবাদিক সুজন মোল্লা। তার সেই পোষ্ট দেখে বরিশাল পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান শিশুটির চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিনকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। তাৎক্ষণিক বানারীপাড়া থানা পুলিশ হাসপাতালে এসে অসহায় পিতার কোলে থাকা অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা সেবা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা সহ ব্যবস্থাপত্রে লেখা ঔষধও ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামানের অর্থে ক্রয় করে দেয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তার এই মহতী উদ্যোগকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সাধুবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্যও লিখেছেন।