মোঃ আল অামিন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরগুনার তালতলীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ হোসেন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সে ঐ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. জিএম নাজিমুল হকের সমন্বয় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের নিবির পর্যবেক্ষনে রয়েছে। শুক্রবার তালতলী সাংবাদিকদের কাছে ওই আহত মেধাবী শিক্ষার্থীর মা রোকেয়া বেগম এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার আলিরবন্দর গ্রামের মোঃ নুরুল আমিন জমাদ্দারের পুত্র কড়ইবাড়িয়া ছালেহিয়া দাখিল মাদরাসার এসএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ হোসেন (১৬) কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১৪জুলাই বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কড়ইবাড়িয়া এলাকার জামাল হাওলাদারের পুত্র খাইরুল (১৮) ও তার ফুফাতো ভাই রিয়াজ হাওলাদার(২২) এর নেতৃত্বে (খাইরুলের) তাদের বাড়ীর সামনে বসেই ৬-৭ জনের একদল কিশোর গ্যাংরা রড দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে ও ছুরি পেটে ডুকিয়ে মারাত্মক যখম করে। এতে হোসেনের বাম কিডনিতে মারাত্মক আঘাত হয়। হোসেনের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আশংঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তালতলী ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও পরে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার বরিশাল শেবাচিমে প্রেরন করেন। সে ঐ হাসপাতালের ৪ তলার ১২নং ওয়ার্ডের ১৮নং বেডে মৃত্যু সাথে পাঞ্জা রয়েছে।
অভিযোগে রোকেয়া বেগম আরও জানান, ওই কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক সেবনসহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। এদের তান্ডবে এলাকার সাধারন মানুষ অতিষ্ট। এব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।
রোগীর শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে কর্তব্যরত ডাক্তার সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. জিএম নাজিমুল হক বলেন, রোগীর অপারেশন সাকসেস হয়েছে। তবে মৃত্যুর ঝুকি রয়ে গেছে।
তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এ ঘটনায় আহত হোসেনের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তারা এলাকা ছেড়ে গাঁ ঢাকা দিয়ে আছেন। আশাকরি শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।