, , , ,

গোমস্তাপুর উপজেলায় বেড়ে  উঠেছে  ডায়রিয়াসহ  ঠান্ডাজণিত রোগ

কাবিরুল ইসলাম গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে,জেকে বসেছে শীত। হঠাৎ ঠান্ডা পড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত রোগের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়ায়। প্রতিদিন গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছেন শিশুসহ বৃদ্ধরা। বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ও বহিঃবিভাগে ঠান্ডাজণিত রোগের প্রায় দু’শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত ভালো হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন ডায়রিয়া আক্রান্তরা রোগীরা।

বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা গেছে, জরুরী ও বহিঃবিভাগের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক রোগীকে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। অনেকের জ্বর,সর্দি,কাশি, শ্বাসকষ্টসহ পাতলা পায়খানার রোগীর সংখ্যা বেশী। এছাড়া
পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডসহ শিশু ওয়ার্ডের প্রতিটি বেডেই রোগী ছিল পূর্ণ।

বোয়ালিয়ার কাউন্সিল বাজার এলাকার শিশু কুসুমের মা জানান, গত তিনদিন আগে তাঁর ২ বছরে মেয়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে হাসপাতালে এসে ভর্তি করি। চিকিৎসা পেয়ে এখন সে সুস্থবোধ করছে। তাঁর দেবরের মেয়ের একই অবস্থা ছিল। বুধবার দুপুরে হাসপাতালে থেকে ছাড়পত্র নিয়ে দুই শিশুকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জরুরী বিভাগে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে আসা নুরুল ইসলাম (৫৫) বলেন, রাত থেকেই পেটের ব্যথা অনুভব করি। এ সময় পাতলা পায়খানাও হয়েছে কয়েকবার। সকালে হাসপাতালে ভর্তি হই।

হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার মোসলেমা জানান,গত ৪৮ ঘন্টায় (দু’দিন) ৪২জন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১১জন, নারী ১৫ জন ও শিশু ১৪ জন ডায়রিয়া রোগী। এছাড়া নিউমোনিয়ায় ২জন রোগী রয়েছেন।

আবাসিক চিকিৎসক ডা.নাসিরুদ্দিন জানান, ঋতু পরিবর্তন হওয়ায় গত ১৫ দিন থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া জরুরি ও বহিঃবিভাগ থেকে প্রায় ৫শতাধিকের উপরে বিভিন্ন রোগের লক্ষ্মণ নিয়ে চিকিৎসা নিতে যান। এর মধ্যে অধিকাংশ ঠান্ডা জণিত রোগ। এ সময় লেবু জাতীয় খাবার খেতে অনুরোধ জানান। সকলকে স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মাসুদ পারভেজ জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর,সর্দি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগী বেড়েছে। আমরা ডায়রিয়া রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি রোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিশুদের প্রতি যতœশীল থাকতে হবে। পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হলে শিশুকে মুখে খাবার স্যালাইন বার বার খাওয়ানো ও মায়ের বুকের দুধও খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

এছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সবসময় হাত পরিষ্কারসহ গরম পোশাক পরিধানের পরামর্শ দেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধের কোন সংকট নেই। ভর্তিকৃত রোগীরা প্রতিদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল আহবান জানান।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225